আমাদের সংবাদ ডেস্ক: তালিবানের কাবুল দখলের পর আফগানিস্তানে অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিকরা কেমন আছেন, এবং তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কি ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, তা জানার জন্য আমরা কথা বলেছিলাম রাষ্ট্রদূত মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম ‘সমদূরবর্তী রাষ্ট্রদূত’ হিসেবে উজবেকিস্তানের পাশপাশি আফগানিস্তান, কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তানের দায়িত্ব পালন করছেন।
ভয়েস অফ আমেরিকা: আফগানিস্তানে এখন কতজন বাংলাদেশি অবস্থান করছেন? তাদের বর্তমান অবস্থা কি?
রাষ্ট্রদূতঃ আজকে পর্যন্ত বাংলাদেশি ২৬ জন। তাদের অবস্থা বলতে গেলে আমি বলব, তারা ভালো আছেন, এবং তারা নিরাপদে আছেন।
ভয়েস অফ আমেরিকা: আপনাদের সাথে কি তাদের কোন যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে?
রাষ্ট্রদূতঃ তাবলীগ জামাতে ছয়জন আছেন। তারা আছেন জালালাবাদ শহরে। উনারা আমাদেরকে মেসেজ দিয়েছেন।
আপনি জানেন, পত্রিকাতেও এসেছে সেটা- আমরা যে দুটো কাজ embassy থেকে করেছি। আফগানিস্তানের কাবুলসহ বিভিন্ন শহরে, বাংলাদেশিরা, যে যেখানে আছেন, তারা যাতে আমাদের embassy accessটা পেতে পারে তার জন্য দুটো হট লাইন আমরা চালু করেছি।
আমি উজবেকিস্তানে আফগানিস্তানের যে ফরেন সেক্রেটারী আছেন, তার মাধ্যমে, যদিও আপনি জানেন যে প্রপার রাজনৈতিক সরকার ওখানে নেই, তারপরও আমি যারা পূর্ব পরিচিত তাদের মাধ্যমে অনুরোধ করেছি যে আমাদের বাংলাদেশিদের যাতে নিরাপত্তা বিধান করা হয়, আর একই সঙ্গে আমাদের যে হট লাইনগুলো আছে সেগুলোর খবর তারা যেন তাদের চ্যানেলে পৌঁছে দেয়। যার ফলে আমরা একটা সুবিধা পেয়েছি যে, every nook and corner of Afghanistan থেকে আমরা response পাচ্ছি এবং তারা আমাদের embassy’র সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
আমরা খবর পেয়েছি, সবাই খুব একটা ভাল অবস্থায় নেই, কিন্তু যে যেখানে আছেন, নিরাপদে আছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে একটা অস্বাভাবিক প্যানিক কাজ করছে। তারা মনে করছেন যেকোন সময় তালিবান এসে আগের রূপ ধারণ করে তাদের ক্ষতি করতে পারে। বা হয়তো অকস্মাৎ তারা বিপদে পড়ে যেতে পারেন।
ব্র্যাকের যে ছয়জন আছেন, তারা কিন্তু একটা রেস্ট হাউসে আছেন, নিরাপদে আছেন কিন্তু তাদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। আবার ওখানে একটা টেলিকম কোম্পানি আছে, সেখানে সাতজন কাজ করছেন। তারাও নিরাপদে আছেন। দুইজন কাজ করেন, ডিপলোমেটিক ক্যারিয়ার, কাবুলের ওয়াযির আকবর খানের ওয়াটার সাপ্লাই এন্ড সেনিটেশন এন্ড সুয়ারেজে। তারা বলছেন যে, এত বেশি সুনসান নীরবতা, যা তাদের অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। তারা বলেছেন, “আমরা বাংলাদেশে যেতে চাই, মান্যবর রাষ্ট্রদূত আমাদেরকে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।” মাজার-ই-শরীফে একজন আছেন, তিনি অর্থ কষ্টে ভুগছেন। কাবুল থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দূরে মাজার-ই-শরীফ, আপনি জানেন এটা উজবেকিস্তানের বর্ডারের কাছাকাছি। আবার একজন আছেন যিনি জেল থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তালিবান কাবুলে ঢোকার পরপরই সেন্ট্রাল জেলটা ওপেন করে দেয়, যার ফলে আমাদের একজন বাংলাদেশি বেরিয়ে আসেন। আসার পর উনি এক জায়গায় শেল্টার নিয়েছেন, কিন্তু উনি আবার অর্থ কষ্টে ভুগছেন। উনি হয়তো অত আতঙ্কগ্রস্ত নন কিন্তু অর্থ কষ্টে ভুগছেন। আমরা অ্যাম্বেসি থেকে চেষ্টা করেছি অন্যদের সহায়তায় তাদের অর্থ কষ্ট লাঘব করার জন্য।
অনেকেই আমাদের হট লাইনে যোগাযোগ করছেন। আমি আজকেও জানতে পারলাম যে তাদের একজনের ভিসার মেয়াদটা নেই। এখন আফগানিস্তানে যেহেতু কোন রাজনৈতিক সরকার নেই এবং তাদের যে নরমাল অফিসিয়াল ফাংশন, সেটা তেমনভাবে হচ্ছে না এবং হয়তো বন্ধ হয়ে আছে, সে জন্য আমার কাছে, অ্যাম্বাসেডরের স্বাক্ষরিত একটা চিঠি উনি চাচ্ছেন এবং তার সাথে মনে হয় আরো কয়েকজন থাকতে পারে। আরও কয়েকজন আছেন যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ চলে গেছে। তারা একটু ভয়ের মধ্যে আছেন… “আমরা কোথায় যাব? কিভাবে কি করব?” আমি তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি যে, এখানে ভয় ভীতির কোন কারণ নেই। আমি প্রয়োজনে দরকার হলে তাদের ট্রাভেল পাস ইস্যু করবো। আপনারা বাংলাদেশের নাগরিক, আপনাদের বৈধতা আছে। বৈধ নাগরিককে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ অ্যাম্বাসি সর্বোতভাবে চেষ্টা করবে। যদি কোন তালিবান সংশ্লিষ্টতা না থাকে, অন্য কোন অসৎ বা অন্য কোন বিপথগামীতার যদি প্রমান না থাকে এবং যদি ভ্যালিড ডকুমেন্টস থাকে তবে অবশ্যই আপনাদের আতঙ্কের কোন কারণ নেই, ভয়ের কোন কারণ নেই। আপনারা বাংলাদেশে যেতে পারবেন। এটা আমি তাদেরকে নিশ্চিত করেছি।
আমাদের দু’জন বাংলাদেশি আছেন যারা একটা জার্মান-বাংলাদেশ জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানিতে কাজ করেন। জার্মানী ওখান থেকে স্পেশাল ফ্লাইট পাঠাচ্ছে তাদের কর্মচারী এবং জার্মান নাগরিকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য। তাদের সাথে উজবেকিস্তান গভর্নমেন্টের একটা সমঝোতা হয়েছে যে, তারা উজবেকিস্তানের তাসখন্দ এয়ারপোর্টটাকে transit হিসাবে ব্যবহার করবে। আমাদের ওই দুইজন বাংলাদেশি সুযোগটা গ্রহন করছেন, যেহেতু তারা ঐ কোম্পানিতে চাকরি করেন। ওখান থেকে তারা আমাদেরকে অনুরোধ করেছেন যাতে তারা আসতে পারেন। তাদের কি প্রয়োজন? প্রয়োজনটা হলো যে, এখানে যেন তাদের অন অ্যারাইভেল ভিসাটা দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। এদিকে আফগানিস্তান বর্ডার সিল করা এবং যেকোন পথে আসলে ভিসাটা পাওয়ার কথা নয়। এজন্য আমি এখানে ডেপুটি ফরেন মিনিস্টারের সাথে কথা বলি এবং তাকে বোঝাই যে আমার বাংলাদেশি মানুষরা ট্রানজিট হিসাবে এই তাসখন্দ এয়ারপোর্টকে ব্যবহার করবে এবং তারা চলে যাবে। তারা আমার কথায় কনভিন্সড হয়ে রাজি হয়েছেন এবং বলছেন, “ঠিক আছে আমরা আপনার কথায় ভিসা দিয়ে দিচ্ছি, একটা আবেদন পাঠান এবং সাথে আপনার আইডি কার্ডের ফটোকপিটা দিয়েন যাতে আমরা গ্যারান্টিটা পাই।” যদিও বিষয়টা কিছুটা হলেও আমার জন্য বিব্রতকর ছিল, তারপরও আমি ওটাকে দিয়েই আমি আমার বাংলাদেশিদের জন্য ভিসার ব্যবস্থা করে ফেলেছি। এবং একই সঙ্গে তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছে যে, “বাংলাদেশিরা যদি যেকোন ভাবে উজবেকিস্তানে পৌঁছাতে পারে, তাহলে আমরা তাদেরকে ভিসা দেব।” এবং এর প্রেক্ষিতে আমি বাংলাদেশিদের আশ্বস্ত করেছি আপনারা কোন ভাবেই আতঙ্কগ্রস্ত হবেন না।
আর কিছু বিষয় আছে যেমন- কিছু কিছু বাংলাদেশি আছেন যারা আর্থিক বিষয়টা নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন। বাংলাদেশে যেতে চান কিন্তু ভাবছেন কিভাবে টিকেট পাবেন? আমরা বলে দিয়েছি, আপনারা আগে যেকোন ভাবে উজবেকিস্তানে চলে আসেন। যদি তারা আসেন, আমরা কিভাবে টিকেটটা পেতে হবে সেই পন্থাটা বের করে দিব। ওটা নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হবার কিছু নেই। আপনারা শুধুমাত্র নিরাপদ থাকেন, যে যেখানে থাকবেন, সেখানে শুধু আপনাদের নিজেদের নিরাপত্তাটা নিশ্চিত করেন। যদি কোন বিশেষ প্রয়োজন হয় তাহলে আপনারা আমাদেরকে জানাবেন, আমাদের অ্যাম্বেসি থেকে আমরা সর্বোত্তম চেষ্টা করবো। আমরা ঢাকার সাথে যোগাযোগ করছি, আমরা ঢাকাকে সবকিছু জানাচ্ছি এবং আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় অবহিত আছে। যার ফলে আপনাদের ভয়ের কোন কারণ নাই। তারা কিছুটা হলেও আশ্বস্ত বোধ করছেন এবং তারা আমাদের যে হটলাইন আছে তার মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন এবং আমার বিশ্বাস যে হয়তো তাদেরকে আমরা ভালোভাবেই বাংলাদেশে পাঠাতে পারবো স্বল্পতম সময়ের মধ্যে।
ভয়েস অফ আমেরিকা: এখনও যে বাংলাদেশিরা আফগানিস্তানে অবস্থান করছেন, তাঁরা কি কেউ সপরিবারে আছেন?
রাষ্ট্রদূতঃ এই বিষয়টি আমি কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, যে আপনারা কেউ পরিবার নিয়ে আছেন কি না। এর মধ্যে High Skill Expert হিসেবে অনেকেই আছেন। তারা আমাকে যেটা বলেছিলেন সেটা হলো, আফগানিস্তানের বিগত দেড় বছর দুই বছর ধরে যে পরিস্থিতি, তাতে তারা ফ্যামিলি নিয়ে রাখেননা। যার ফলে যে কয়জন এখানে আছেন, আমার কাছে যে তথ্য আছে, তার ভিত্তিতে বলছি, পরিবারের কোন সদস্য তাদের সাথে নেই। তারা শুধু একক ভাবেই আছেন।
ভয়েস অফ আমেরিকা: তালিবান কাবুলের দখল নেওয়ার পর এই কয়দিনে কোন বাংলাদেশি কি আফগানিস্তান থেকে বাংলাদেশে ফিরতে পেরেছেন বলে আপনি জানেন?
রাষ্ট্রদূতঃ আমার কাছে যে তথ্যটা আছে সেটা হলো, মাত্র তিনজন বাংলাদেশি, ব্র্যাকের তিনজন, ১৬ তারিখে, বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে পেরেছেন। আর অন্য দুইজন, আপনাকে যাদের কথা একটু আগে বললাম, যারা জার্মান কোম্পানিতে কাজ করছিল, তাদের ভিসা এখন রেডি। তাদের ফ্লাইটটা হয়তো আজকে সন্ধ্যার সময় যদি না আসে, আমার মনে হচ্ছে কালকের মধ্যে চলে আসবে। তারা উজবেকিস্তানে চলে আসলে হয়তো, এখান থেকে চলে যেতে পারবেন।
ভয়েস অফ আমেরিকা: বাকিদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কি ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? এবং তারা কবে নাগাদ ফিরতে পারবেন বলে আপনি মনে করছেন, যদি তারা ফিরে যেতে চান?
রাষ্ট্রদূতঃ এখন হামিদ কারজাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টটাতে Commercial Flight Suspended হয়ে আছে, এই কারনে এখন কোন Commercial Flight যাতায়াত করছে না। এবং আমার মনে হচ্ছে, এই Evacuationটা যদি কমপ্লিট হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু আবার Commercial Flight চালু হয়ে যাবে। তখন কিন্তু আমাদের বাংলাদেশিরা চলে যেতে পারবেন- এই একটি বিষয় আছে।
এরমধ্যে তারপরও আমি তাদেরকে বলেছি, যদি কোন দেশের স্পেশাল ফ্লাইট আসে, যদি সেখানে তাদের কোনও স্কোপ থাকে বা তারা যদি তা আমাদেরকে অর্থাৎ Embassyকে জানাতে পারে, যে এই ফ্লাইটে সুযোগ আছে, তাহলে আমি সেই দেশের রাষ্ট্রদূতের সাথে কথা বলে তাদেরকে Evacuate করার চেষ্টা করবো। আমি সেটা তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি।
আমাদের তরফ থেকে সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় যোগাযোগ করেছি আমরা। এখন অন্য দেশেরও যদি কোন স্পেশাল ফ্লাইট আসে তাহলে আমরাও দূতাবাস থেকে চেষ্টা করছি তাদেরকে জানিয়ে দিতে তারা যাতে ওই ফ্লাইটটা অ্যাভেল করতে পারে। এবং তাদেরকেও বলা হয়েছে যে, যদি আপনাদের কাছে মনে হয়, এই ফ্লাইটটা আপনাদের নিতে পারে, আপনার কোন কলিগকে নিচ্ছে, সে দিক থেকেও আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন। এখানেও আমরা চেষ্টা করছি। এসব বিবেচনা করে আমার বিশ্বাস, আমরা বাংলাদেশিদের Evacuate করতে পারবো, বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিতে পারব।
ভয়েস অফ আমেরিকা: উজবেকিস্তান, আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী একটি দেশ। যদিও আপনি বলেছেন সীমান্ত এখন বন্ধ আছে। প্রতিবেশী একটি দেশ থেকে আপনারা আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এখন কেমন বলে মনে করছেন?
রাষ্ট্রদূতঃ আমরা বিভিন্ন সোর্স থেকে যে খবর গুলো নিচ্ছি, তারা আমাদেরকে বলছে যে তালিবান উদাত্তভাবে আহবান জানাচ্ছে, “আপনারা যে যেখানে আছেন, যেখানে যেভাবে কাজ করেন, তা চালিয়ে যান। আতংকের বা ভয়-ভীতির কোন কারন নেই।” বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে, আমি আমার দেশের মানুষগুলোকে যাতে ভালো রাখা যায় সর্বোত্তম উপায়ে, এইজন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে খবর নিতে চেষ্টা করছি। মানবাধিকার কর্মী বা ওখানে Women Activist যারা আছেন, তাদের কাছ থেকেও আমরা খোঁজ নিচ্ছি। সেখান থেকে আমাদের কাছে কিন্তু নেগেটিভ কিছু খবর আসছে। তালিবান আহবান করছে, কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় তালিবানের উপস্থিতি আছে এবং মানুষজনকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এমন খবর আমাদের কাছে আসছে। যার ফলে, ওটাকে আমলে নিয়েই আমার কাছে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশিরা যে ভয়ের মধ্যে আছে, এটা অযৌক্তিক বা অমূলক নয়। যদিও তালিবান বলছে, “আমরা পূর্বের থেকে আলাদা”, কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে যেন একটু ভিন্ন পরিস্থিতি সেখানে আছে। আরও কয়েকটা দিন অতিক্রান্ত হলে আমরা হয়তো বলতে পারবো যে আসলে প্রকৃতপক্ষে কি হচ্ছে। দৈনন্দিন জীবনের প্রবাহটা এখন বন্ধ হয়ে আছে। যদি তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে তাহলে আমরা আমাদের মানুষগুলোকে আশ্বস্ত করতে পারবো। এবং সেই বিবেচনায় আমরা আরও বেশী Contribute করতে পারবো আমার দেশের মানুষগুলোকে দ্রুততার সাথে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য।