আসাদ সিকদারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারেরপ্রতিবাদে তোলপাড় চলছে টঙ্গীতে

0
35

নিজস্ব প্রতিবেদক: একটি স্যাটেলাইট টিভিতে মনগড়া সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে তোলপাড় চলছে টঙ্গীতে। সেখানে ছাত্রলীগ কর্মী আসাদ সিকদারের বিরুদ্ধে প্রচারিত মিথ্যা, ভিত্তিহীন সংবাদকে কেন্দ্র করে বাদ, প্রতিবাদ, সংবাদ সম্মেলন ও মামলা দায়ের হয়েছে, চলছে আলোচনা সমালোচনা।

দাবি করা হয়েছে, স্যাটেলাইট টিভির সাংবাদিক চাঁদা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে আসাদ সিকদারের বিরুদ্ধে যা ইচ্ছে তাই অপপ্রচার চালিয়েছেন এমনকি তাকে মাদক ব্যবসায়ির তকমা লাগাতেও দ্বিধা করেননি। কোনরকম প্রমানাদি ছাড়া আসাদকে মাদক ব্যবসায়ি হিসেবে অভিযুক্ত করা এবং তাকে কোটি কোটি টাকার মালিক বানিয়ে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করার গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে।

এরইমধ্যে
অসত্য, বানোয়াট, ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে সংবাদ প্রকাশ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রলীগ কর্মী আসাদ সিকদার।
সংবাদ সম্মেলনে আসাদ সিকদার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গাজীপুর মহানগর শাখার সভাপতি মশিউর রহমান সরকার বাবুর কর্মী হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। পাশাপাশি দীর্ঘাদিন যাবত জমি ও মসলার ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু গত ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনে আমার নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। আমি সেই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরো বলেন, তার মায়ের ওয়ারিশ সম্পত্তি বিক্রি করে গত ১১ বছর আগে মরকুন এলাকায় সোয়া এক কাঠা জমি কিনে তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে এবং তিন কাঠার একটি প্লটের কাজ নির্মাণাধীনসহ দুটি প্লট বায়না করা আছে। দেনার টাকা ও অংশীদারদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জমি বায়না করেছি। বর্তমানে আমি ব্যাংক লোনসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকা দেনা রয়েছি। একটি কুচক্রী মহল আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করিয়ে আমার সুনাম নষ্ট করছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মরকুন গুদারাঘাট মসজিদেও ইমাম মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ব্যবসায়ী দুলাল আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন, বিল্লাহ হোসেন, লাভলুসহ এলাকার মুরব্বিরা।
এদিকে মনগড়া একাধিক সংবাদ প্রকাশ করে মানহানী এবং চাঁদা দাবির অভিযোগে মাসুদুল ইসলাম সুমন নামে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গাজীপুর চীফ মেট্রোপলিটন আদালতে পৃথক ৩টি মামলাও করেছেন আসাদ সিকদার। মাসুদুল ইসলাম সুমন বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল মোহনা টিভিতে কর্মরত। মামলায় তার বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর মরকুন বাসিন্দা ছাত্রলীগ নেতা আসাদ সিকদারকে জড়িয়ে মাদক বিক্রির টাকায় কোটি টাকার সম্পদ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রচারিত হয় মোহনা টেলিভিশনে। যার প্রতিবেদক ছিলেন মাসুদুল ইসলাম সুমন। প্রতিবেদনে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে একতরফা, মনগড়া মিথ্যা তথ্য তুলে ধরার অভিযোগ আনা হয়।
গত ৬ মার্চ বিজ্ঞ আদালতে ৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজির একটি ও ৯ মার্চ ৫ কোটি টাকার মানহানীর একটি মামলা করেন তিনি। এরপর গত ১২ ফেব্রুয়ারি ’দুর্নীতি তুলে ধরায় মামলার শিকার মোহনা টিভির সাংবাদিক’ শিরোনামে আরো একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সাংবাদিক মাসুদুল ইসলাম সুমন। এরপর পুনরায় ১৪ মার্চ আরো একটি ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন ওই ছাত্রলীগ নেতা।
এ বিষয়ে সাংবাদিক মাসুদুল ইসলাম সুমন চাঁদাদাবীর বিষয়টি অস্বিকার করে বলেন, তথ্যের প্রয়োজনে আসাদ সিকদারের সাথে আমার দুইবার মুঠোফোনে কথা হয়েছিলো। এখন পর্যন্ত তার সাথে দেখা হয়নি। আদালতের প্রতি আমি আস্থাশীল ও ন্যায় বিচার প্রত্যাশী। তদন্তে আমি দোষী হলে আদালত যা ব্যবস্থা নেবেন আমি তা অবশ্যই মেনে নেবো।
এব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা আসাদ শিকদার জানান, আমাকে জড়িয়ে ওই প্রতিবেদক মনগড়া মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। প্রতিবেদনে আমাকে কিশোরগ্যাং এর প্রধান এবং মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দেয়া হয়েছে। এসব করে আমি নাকি কোটি কোটি টাকার মালিক। এসব আদৌ সত্য নয়, এখানে আমার মান সম্মান হানী করা হয়েছে। তিনি আমার কাছে চাঁদা দাবী করেছেন, তা পূরণ না হওয়ায় সাংবাদিকতার নীতি, আদর্শ ভুলুন্ঠিত করে সামাজিকভাবে হেয় করা হয়েছে আমাকে। তাই আমি ন্যায় বিচার পেতেই বিজ্ঞ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, ছাত্রলীগের একজন কর্মি হয়েও সামাজিক নানা কর্মকান্ডে আসাদ সিকদার অংশগ্রহণ করেন এবং বিপদে আপদে মানুষের পাশে দাঁড়ান। সিলেটে বন্যা চলাকালীন সময়েও তিন নিজ উদ্যোগে কর্মি সমর্থকদের নিয়ে বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রি সেখানে নিয়ে যান এবং টানা দশ দিন রান্না করা খাবার বিতরণ করেন। করোনাকালীন সময়ে টঙ্গীর বাসিন্দাসহ ফুটপাতে অবস্থান নেয়া মানুষজনের জন্য আসাদ সিকদারের সায়তা ছিল উল্লেখ করার মতো। এসব কর্মকান্ডে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন আসাদ, এটাই অনেকের জন্য গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চক্রের সদস্যরাই মূলত আসাদের বিপক্ষে সাংবাদিক লাগিয়ে তার সুনাম ক্ষুন্নের পাঁয়তারায় লিপ্ত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।