একদিকে মোবাইল গেম অন্যদিকে মোবাইলে লুডু জুয়া এ যেন দুয়ে মিলে সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়।

0
278

মোঃরোমান আকন্দ,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি। 

মোবাইল গেম প্রযুক্তির অবদান। বর্তমানে মোবাইল গেম বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে তরুণরা মোবাইল গেমের প্রতি এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েছে  যে, তারা দৈনিক চার-পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় মোবাইল গেমে অপচয় করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৮ সালে মোবাইল গেম আসক্তিকে ‘রোগ’ বলে আখ্যায়িত করেছে।

তাইতো এমন সামাজিক অবক্ষয়ের চেতনায় মনে পড়ে নিউটনের সূত্রকে। 

নিউটনের সূত্রমতে, প্রত্যেকটা ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে। ঠিক তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে শুধু সুবিধা ভোগ করছে জনগণ, তা নয়; এর বিপরীতে অনেক অসুবিধা বা কুফলও ভোগ করছে জনগণ। সন্তানদের মেধা বিকাশে একটা সময় হা-ডু-ডু, গোল্লাছুট, ডাঙ্গুলি, দাঁড়িয়াবান্ধা, কানামাছি প্রভৃতি খেলার সুযোগ দিত অভিভাবকরা।কিন্তু আধুনিকায়নের ছোঁয়ায় আগের বিষয়গুলোকে ভুলে গিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে কিংবা জোর করে নিত্য নতুন মোবাইল কেনার ছন্দে মেতেছে সন্তানরা।

এক্ষেত্রে অভিভাবকে দায়ী করা হচ্ছে বলে মনে হয়।

যেখানে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর জীবনের সোনালি সময় হলো তরুণ বয়স। কারণ তরুণ বয়সে মানুষ তার জীবনের ভিত্তি স্থাপন করতে পারে। শ্রমশক্তিতে এ সময়টা থাকে উদ্দীপ্ত। যে কোনো বাধা পেরিয়ে সমাজ, রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে তারুণ্যের শক্তি। এ জন্যই বলা হয়ে থাকে—তারুণ্যই শক্তি।

শুধু তাই নয় বর্তমান কে কেন্দ্র করে গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিভৃত পল্লী গ্রামের বয়স বৃদ্ধ লোক জন মেতে উঠেছে মোবাইলে লুডু খেলায়। আসলে দূর থেকে দেখলে মনে হয় এটি মাত্র একটি লুডু খেলা। কিন্তু লোকচক্ষুর  অন্তরালে চলছে টাকা দিয়ে বাজি খেলার প্রবণতা। তা যেন এক ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। যেখানে বয়স বৃদ্ধ লোকেরা মোবাইলে লুডু জুয়া খেলায় মাতোয়ারা হয়ে আছে তারা কেমন করে যুবসমাজের মোবাইলে আকৃষ্টতা কমিয়ে আনবে। যেখানে নিজেরাই এখনো ভুলের মধ্যে পড়ে রয়েছে তারা কেমন করে যুব সমাজকে এই ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি দিবে।

তাইতো প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যেভাবে মোবাইল গেম এবং মোবাইলে লুডু জুয়ায় আসক্ত করেছে সর্বস্তরের মানুষ ও আবাল বনিতাকে। এমন অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে পারে প্রশাসনের কঠোর থেকে কঠোরতম ব্যবস্থা।