কোটচাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী খেঁজুর গাছ বিলুপ্তির পথে

0
223

আব্দুল্লাহ বাশার, বিশেষ প্রতিনিধি।। ‘ঠিলে ধুয়ে দে রে বউ গাছ কাটতি যাবো’ খেজুর গাছে চোমর হয়েছে তোরে এনে দেবো, ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার যশ খেঁজুরের রস গুড় ও পাটালি । দেশি খেঁজুরের গুড় পাটালির জন্য বিখ্যাত কোটচাঁদপুর উপজেলা। পৌর শহর সহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে খেঁজুর রস জ্বালানীর জন্য অস্যাংখ্য কারখানা ছিল। যা কিনা পৌর শহরে বাড়ী করতে গেলে গুড়ের ভাড়ের খাবরা মাটির অনেকে গভীরে। সেই পুরানো ঐতিহ্য এখন বিলুপ্তের পথে। ছোট ছোট সোনামনিদের কাছে রুপকথা গল্পের মতো। গ্রামের রাস্তার দুইধারের খেঁজর গাছ ও অপরিকল্পিত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খেঁজর বাগান সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি শীত মৌসুমে অর্থের আায়ের অন্যতম উৎস এই এলাকায়। ধুম পড়ে যায় বাড়ীতে বাড়িতে শীতের পিঠা খাওয়ার মহাউৎসব। নতুন গুড়ের মৌ মৌ গন্ধে বাড়ির আঙিনায় মধুময় করে তোলো। কোটচাঁদপুর পৌর শহরের বিশিষ্ট গাছ প্রেমিক মোস্ততাফিজুর রহমান বটা বলেন খেঁজর বাগান একটি লাভজনক চাষ। তিনি এ প্রতিনিধির সাথে আলাপচারিতায় বলেন রাস্তার দুইধারে, পরিত্যক্ত জমিতে কিংবা পরিকল্পিত উপায়ে প্রতি বিঘা জমিতে ৫ ফুট বাই ৫ ফুট চারা রোপন করার মাধ্যমে ৩ বছরের মাথায় যেয়ে একজন খেঁজুর বাগানচাষী তাঁর প্রতিবিঘা জমি হতে প্রায় ৫০/৬০ হাজার টাকা গুড় বিক্রয় করে আয় করতে পারে। এছাড়াও জ্বালানী হিসেবে খেঁজর পাতা ব্যবহার করা হয়। বছরে ওই খেঁজুর বাগান হতে একজন বাগান মালিক খেঁজুর বিক্রয় করেও টাকা উপার্জন করতে পারবে। দেশি খেঁজুর স্ব স্ব এলাকা হতে গাছ হতে পাকা খেঁজুর খাওয়ার পর বীজ ছিটিয়ে দিলে চারা গজাবে। ১ মাসের মাথায় সেই চারা পরিকল্পিত উপায়ে লাগাতে হবে। এছাড়াও সৌদি খেঁজুর ও আমাদের এলাকায় বাণিজ্যেক ভিত্তিক চাষ হচ্ছে। সুয়াদী গ্রামের খেঁজর বাগান চাষী মিজানুর রহমান বলেন খেঁজুর চাষ একটি লাভজনক চাষ। উৎপাদন খরচ কম। তিনি জানান সেই খেঁজরেরর হারানো অতীত ফিরে পেতে বনবিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় হতে হবে। কৃষিবিভাগ ও বনবিভাগ কে যৌথ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সাথে সক্রিয় সচেতনতা সৃষ্টি করে লাভজনক এই খেঁজুর বাগান চাষের বিস্তৃতি ঘটিয়ে আবারো সেই ঐতিহ্যবাহি কোটচাঁদপুরের পুরান ঐতিহ্য গুড়ের হারানো যশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন খেজুর গাছ কাটা গাছিরা। উপজেলার কৃষি অফিস কে সক্রিয়তার মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে চাষীদের শলাপরামর্শের মাধ্যমে অনুপ্রেরণা সৃষ্টির মাধ্যমে লাভ জনক খেঁজুর চাষের মাধ্যমে দেশে চাহিদা মিটিয়ে বৈদিশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব খেঁজুর চাষ করে এবং হারান সুনাম আর ঐতিহ্য খেঁজুরের অতীত ফিরে পাওয়া। গুড় ব্যবসায়ী এজাজ আহমেদ বলেন কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়েরগড়িমসি, সচেতনা আর তদারকির অভাব এবং অযন্ত ও অবহেলা আর চাষীদের সাথে সমন্বয় না থাকায় লাভজনক চাষ খেঁজুর বাগান আজ বিলুপ্তের পথে এগিয়ে চলেছে। তবে এখনো যদি গ্রামের উৎসাহী খেঁজুর বাগান চাষীদের কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতার করা হয় তাহলে আবারে এই খেঁজুর বাগান চাষীরা নতুনভাবে ঘুরে দাড়াবেন।