কোটচাঁদপুরে ইরি কচু চাষে বাম্পার ফলনের আশা চাষীদের।

0
301

আব্দুল্লাহ বাশার,, বিশেষ প্রতিনিধি।।ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার মাটি সোনার চেয়ে ও খাঁটি। উপজেলার গ্রামগুলোতে সবজীচাষ সহ যে কোন আবাদ পরিচর্যা করতে পারলে সেই জমিতে চাষে বাম্পার ফলন হবে বলে জানালেন মাঠ পর্যায়ের মানিকদিহি গ্রামের কৃষক মোঃ আব্দুল জলিল। লেখাপড়া শেষ করে চাকরীর আশায় বসে না থেকে তিনি বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষাবাদ করেন যেমন ঝাল, টমাটো, কলাই, ইরি ও আউশ কচু, কলা, তীল ইত্যাদি চাষ করে ব্যাপক সাফাল্যের মুখ দেখেছেন। নিজের সংসার সহ ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে ও মাঠে বেশ কিছু জমি ক্রয় করতে সক্ষম হয়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের চাষীরা জানান কীভাবে কমখরচে কমজমিতে অধিক লাভবান হওয়া যায়, চাষীদের সাথে আলাপ এবং সরেজমিন মাঠ পরিশর্দন করে জানা যায় অল্প খরচে কম পরিশ্রমে প্রতি বিঘা জমিতে একজন চাষী ৯/১০ হাজার টাকা খরচের বিনিময়ে সেই চাষী ৪০/৫০ হাজার টাকা ইরি কচু চাষাবাদ করে মুনাফা অর্জন করতে পারবে। এছাড়াও ওই জমিতে ৭/৮ হাজার টাকা খরচ করে সাথী ফসল হিসেবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে প্রায় ২০/ ২২ হাজার টাকা নিজের চাহিদা মিটিয়ে মুসুরির ডাল বিক্রয় করতে পারবে বলে জানালেন লক্ষীকুন্ডু গ্রামের সাজু মন্ডল। বালিয়াডাঙ্গা ও লক্ষীপুর গ্রামের তরিকুল ও দেব নারায়ন জানান ইরি কচু ও তাঁর সাথী ফসল মুসুরির ডাল আবাদ করে প্রতিবিঘা জমিতে খরচবাদে আমরা বছরে ৫০/৬০ টাকা আয় করতে পারি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার যোগাযোগ ব্যবস্হা ভাল হওয়াই জমি হতে উৎপাদিত ফসল পাইকারী হারে বিক্রয় হচ্ছে । তাতে ক্যারিন খরচ কম হচ্ছে
এদিকে বাগডাঙ্গা গ্রামের লিপটন জানান মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা চাষীদের প্রতি তদারিক বা পরামর্শ প্রদান সহ সুদমুক্ত ঋন প্রদান করা হলে কোটচাঁদপুরে ইরি কচু চাষ সহ সাথী ফসল মুসুরির ডালে বাম্পার ফলন হবে এবং চাষীরা তাড়াতাড়ি সাবালম্বী হবেন। কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সহ মাঠ পর্যায়ের চাষীদের আর ও সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন কোটচাঁদপুরের সচেতন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।


কোটচাদপুরের তরুন সৃজনশীল সাংবাদিক মোঃ নজরুল ইসলাম জানান তিনি মাঠ পর্যায়ে ও কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায় এ বছরে কোটচাঁদপুরে ২৫০ হেক্টরের বেশি কচু চাষ করেছেন উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে। তিনি আর ও বলেন এ বছরে কচুর বাম্পার ফলন হওয়ার বেশি সম্ভবনার হাতছানি দিচ্ছে। পৌর শহরের বড়বামনদহ গ্রামের কঁচু চাষী জামাল হোসেন, বলেন স্বল্প খরচে কচু চাষে ব্যাপক লাভ হয়। তিনি বলেন যদি স্বল্পঋণে কঁচু চাষীদের ঋণ প্রদান ও উপজেলা কৃষি অফিস থেকে মনিটরিং করা হয় তাহলে কোটচাঁদপুরে কঁচু চাষে বিপ্লব ঘটানো যায় এবং ব্যাপক লাভজনক চাষ অনেক বেকার ছেলেরা ও এই কচু চাষ করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে পারে।