
বার্তা সম্পাদক , শাওন আহমেদ:
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের বিনামূল্যে করোনার টিকার নিবন্ধন ও মাক্স বিতরণ করে যাচ্ছেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন ফারুক এবং ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান। এসব মানুষকে টিকা নিশ্চিত করতে তাঁরা স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত হাজার মানুষের টিকার নিবন্ধন করেছেন তাঁরা। টিকা কার্ড নিবন্ধনের সার্বিক সহযোগিতা করছেন এলাঙ্গী ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ নাসিম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলে।নিবন্ধিতদের সঙ্গে সঙ্গেই প্রিন্ট করে টিকাকার্ড দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব মানুষ এই কার্ড নিয়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (১২ ই আগস্ট) বিকালে এলাঙ্গী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ফাজিলপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের নারী-পুরুষ জড়ো হয়েছেন টিকার নিবন্ধন করতে।নিবন্ধনকারীদের মধ্যে দুজন নিবন্ধন করতে আসা নারী-পুরুষের আলাদা তালিকা করছেন, আরও দুজন তাঁদের নির্দিষ্ট সারিতে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন। চারজন তাঁদের ল্যাপটপ দিয়ে সুরক্ষা অ্যাপ থেকে তাঁদের নিবন্ধন করে দিচ্ছেন। আর দুজন একটি প্রিন্টারের মাধ্যমে তাঁদের টিকাকার্ড প্রিন্ট করে দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে লোকজনকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
এ সকল কার্যক্রমে ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানকে সবসময় সহযোগিতা করছেন নাসিম হোসেন। তিনি এলাঙ্গী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। এছাড়াও সাথে আছেন সকল ওয়ার্ডের ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মীরা।
কর্মসূচির অন্যতম উদ্যোক্তা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কোটচাঁদপুর উপজেলা শাখার উপ-প্রচার সম্পদাক মো.রাসেল হোসেন জানান,আমাদের এলাকার মসজিদের মাইকে এবং নামাজ পড়তে আসা লোকজনক ও বিভিন্ন গ্রামে মাইকিং করে বিনা মূল্যে টিকা নিবন্ধনের খবর জানিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া আশপাশের সব দোকানেও এই খবর পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে লোকজন টিকা নিবন্ধনের জন্য আসতে থাকে।
কোটচাঁদপুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন ফারুক আমাদের সংবাদ কে জানান, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফ্রি তে টিকার নিবন্ধন করে দিচ্ছি। টিকার নিবন্ধন এর পাশাপাশি যে সকল ব্যক্তিবর্গ আসছেন তাদেরকে ফ্রিতে মাক্স বিতরণ করে দিচ্ছি। সেই সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি । জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন সুখে- দুঃখে সবসময় আমি জনগণের পাশে আছি থাকবো ইনশাল্লাহ।
এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান জানান, তাঁরা যাঁদের টিকার নিবন্ধন করে দিচ্ছেন, তাঁদের সবাই নিম্নবিত্ত ও সমাজের অসচেতন অংশ। কেউ রিকশা চালান, কেউ চা-সিগারেটের দোকান চালান, আবার কেউ দোকানের কর্মচারী। তাঁদের অধিকাংশই জানেন না, কীভাবে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে হয়। আবার নিবন্ধন করতে প্রয়োজনীয় কম্পিউটার বা স্মার্টফোন তাঁদের নেই। নিবন্ধন করতে না পারায় অনেকে করোনার টিকা নিতে পারছেন না। গণটীকা কর্মসূচির প্রথম ধাপে আমাদের ইউনিয়নে ৬০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ইউনিয়নের অনেককেই আবার টিকা দেওয়া হবে।তাই এসব ব্যক্তিকে সাহায্য করতে আমি নিজে ছাত্রলীগ,যুবলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।