গলাচিপায় রুহুল হত্যার পলাতক প্রধান দুই আসামী গ্রেফতার।

0
202

গলাচিপা, পটুয়াখালী প্রতিনিধি : জমিজমার বিরোধ কেন্দ্র করে গলাচিপার আলোচিত রুহুল আমিন ধলাই হত্যার প্রধান দুই আসামী বাবা-ছেলেকে ৩৩ দিন পর গ্রেফতার করেছে গলাচিপা থানা পুলিশ। এরা হলেন মিরাজ মীর (২৫) ও জসিম মীর (৫০)। এর মধ্যে মিরাজকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও জসিমকে ফেনী জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় গলাচিপা থানার হল রুমে এক প্রেস সংবাদ সম্মেলনে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম এসব তথ্য জানান। গ্রেফতার কৃতদের বৃহস্পতিবার গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আদালত তাদেরকে পটুয়াখালী জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন। তবে এ হত্যাকান্ডের অধিকতর তদন্তের জন্য আসামীদের রিমান্ড চাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আতিকুল ইসলাম জানান।

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, উপজেলার ডাকুয়া ইনিয়ানের ব্রিজবাজার এলাকায় গত ২৫ জুন বেলা ১১টার দিকে গ্রাম্য সালিশ দরবারের পর জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেওে প্রকাশে ব্রিজ বাজারে নিজের চায়ের দোকানের মধ্যে লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে নির্মমভাবে হত্যা করে রুহুলকে। এ হত্যাকা-ের প্রধান দুই আসামী মিরাজ মীর ও জসিম মীর দীর্ঘদিন পলাতাক ছিল। প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বুধার গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার দিনই হত্যাকা-ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আরো ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে রুহুল হত্যাকা-ের সাথে জড়িত অভিযোগে পাড় ডাকুয়ার বদরুল ইসলাম খানের ছেলে সিফাত খান(২৬), গলাচিপা পৌরএলাকার শ্যামলীবাগের মো. কালাম হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২২), মো. মিজানুর রহমানের ছেলে ইমরান হাওলাদার(২৩), আব্দুল ছত্তার হাওলাদারের ছেলে মাহমুদ শাকিল (২৩), নতুন বাজার এলাকার মো. কবির হোসেনের ছেলে মো. শহিদুজ্জামান ইমন (২১) ও শ্যামলীবাগ এলাকার মন্নান হাওলাদারের ছেলে নাঈম হাওলাদা (২১) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহত রুহুল আমিন মীরের স্ত্রী নাজমুন নাহার বাদী হয়ে গত ২৬ জুন মিরাজ মীর ও তার বাবা জসিম মীরকে প্রধান আসামী করে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২৬ জনসহ মোট ৫২ জনের নামে গলাচিপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামী জসিম বাদী নাজমুন নাহারের সম্পর্কে চাচাতো ভাসুর হন।

এ বিষয় মামলার তদন্তকর্মকর্তা গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আতিকুল ইসলাম জানান, আলোচিত রুহুল হত্যাকা-ের প্রধান দুই আসামী ঘটনার পর পরই পালিয়ে যায়। আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামী মিরাজকে ব্র্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার মেড্ডা এবং অপর আসামী জসিমকে ফেনি জেলার মহিপাল হতে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করেন গলাচিপা থানার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. শাহেদ চৌধুরী এ অভিযানে সহযোগী‘রা ছিলেন ও সি (তদন্ত) ও হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম ও এসআই মো. তারেক মাহমুদ, এএসআই দিবাকর চন্দ্র দাস।


এ প্রসঙ্গে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, ‘রুহুল হত্যার প্রধান দুই আসামীসহ মোট ৮জন গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। প্রধান দুই আসামী গ্রেফতার হওয়ায় মামলার জট অনেকটাই স্পষ্ট হবে।