মোঃ রোমান আকন্দ, স্টাফ রিপোর্টার, গাইবান্ধা: গাইবান্ধা সদর উপজেলাধীন১০ নং ঘাগোয়া ইউনিয়ন।যেখানে চলছে একাধিক অনিয়ম ক্ষতির মুখে সাধারন জনগন। ১০ নং ইউনিয়নে সরোজমিনে উপস্থিত হলে দেখা যায় ইউনিয়ন পরিষদে বিদ্যুৎ চলে গেছে।সচিব সহ দুই তিন জন অন্ধকার রুমে বসে আছে। ইউনিয়ন সচিবকে পরিষদে জেনারেটর আছে কিনা সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি রাগান্বিত ভাবে উত্তর দেন তোমাকে বলতে হবে কেন। তখন আমি বললাম জেনারেটর না থাকায় যদি কোনো কাজকর্ম কেউ করতে দেয় তাহলে আপনারা কিভাবে করবেন। তখন সচিব বলল এগুলো আমার ব্যাপার আমি জানি তোমাকে বলতে হবে কেন। অন্যদিকে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ শাহিন জানায় আমি চেয়ারম্যান রিঙ্কু ভাই কে এই জেনারেটরের কথা বললে ও আইপিএস এর ব্যাটারি অনেকদিন ধরে নষ্ট হয়ে আছে। এগুলো ভালো করার কথা বলতে বলতে কান ঝালাপালা হয়ে গেছে। তবুও যেন চেয়ারম্যানের নেই কোনো গুরুত্ব।এ বিষয়গুলো তিনি এভাবে তুলে ধরেন। এছাড়াও আমি আমার জন্য একটি নাগরিকত্ব সনদ আনতে গেলে সচিব রুমে থাকা অবস্থায় আমাকে বলে আমার কাছে কোন নাগরিকত্ব সনদ নেই।গ্রাম পুলিশ জুবায়েরকে বলো।পরে গ্রামপুলিশ জোবায়ের অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করার পর একটা নাগরিকত্ব সনদ নিয়ে আসে এবং বলে এটাই শেষ আর কোন নাগরিকত্ব নেই অন্য গুলো শেষ হয়েছে নয়তো হারিয়ে গেছে। এ কেমন ইউনিয়ন পরিষদ এর অবস্থান। অন্যদিকে একই সাথে আর একজন ভুক্তভোগী কে খুঁজে পাওয়া যায়।তিনি গত তিন মাস আগে নিজ সন্তান সহ নিজের জন্ম সনদ অনলাইন এবং সন্তানের জন্য নতুন সনদের আবেদন করেন। এবং তাকে বলা হয় আপনার সনদ বের হয়েছে। কিন্তু ওই ব্যক্তি গ্রামে না থাকায় তিন মাস পর বাড়িতে এসে যখন আাজ ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম সনদের কথা বলেন তখন অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করার পরেও বের হয়নি জন্ম সনদ। হয়রানি হতে হয় তাকে।এমন অবস্থায় আমি কম্পিউটার অপারেটরকে জিজ্ঞেস করি আপনার ওয়েবসাইটের ডকুমেন্টস থেকে জন্ম সনদ বের করে দেন।এমন ঘটনায় তিনি বলেন আমার ওয়েবসাইটের পেজ ওপেন হয় না। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম এত সমস্যা কেন এ পরিষধে।তখন তিনি রাগান্বিত স্বরে উত্তর দেন আমাকে জিজ্ঞেস করেন কেন এর জন্য চেয়ারম্যান কে বলেন। এটা ঠিক করার জন্য চেয়ারম্যান কে ঢাকায় যেতে হবে। চেয়ারম্যানকে বলার পরও তা ঠিক হয়নি।তখন ভুক্তভোগী জানতে চায় তাহলে আমি এখন কেমনে কি করব।তখন কম্পিউটার অপারেটর বলেন আবার নতুন করে জন্ম সনদ করতে হবে। তখন ভুক্তভোগী জানায় জন্মসনদ করার জন্য আমি যে টাকা দিলাম সেটার কি অবস্থা। তখন কম্পিউটার অপারেটর কথার সুর পরিবর্তন করে বলেন আমাকে কোন টাকা পয়সা কিংবা কাগজ পএ জমা দেওয়া হয়নি। এমন মিথ্যা আচরনে বিভ্রান্ত হয় ভুক্তভোগী। এমতঅবস্থায় মোবাইলে ভিডিও ধারন হলে সচিব রুম থেকে বরিয়ে এসে বলেন তোমাকে কেন বলতে হবে, তুমি কে। আমি সংবাদকর্মী হিসাবে পরিচয় দিলেও তার কথায় রাগান্নিত ভাব ফুটে ওঠে ও তিনি বলেন আপনি সরকার ও ইউএনওকে বলেন আমরা সেখানে জবাব দেব এবং সচিব আমার সাথে রাগান্নিত ভাবে কথার মাধ্যমে খারাপ আচার করে।তাই ইউনিয়ন বাসীর ভোগান্তি দুরীকরণে সকল প্রকার সুবিধার্থে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।এবং যে যেখান থেকে এই পোষ্টটি দেখবেন সবাই বেশি করে শেয়ার করবেন যাতে করে অতি সহজে উক্ত বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।