আব্দুল্লাহ বাশার-(বিশেষ প্রতিনিধি) : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পানামী গ্রামে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রী(১২)। শনিবার সন্ধ্যার দিকে ছাত্রীর নিজ বাড়িতে টিভি দেখতে এসে মতিয়ার (৫৫) নামের এক লম্পট তার হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে বলে ভুক্তভোগীর মা জানিয়েছে। ধর্ষক মতিয়ার বিশ্বাস পানামী গ্রামের জিন্দার বিশ্বাসের ছেলে। বর্তমানে ভুক্তভোগী ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। ভুক্তভোগীর মা জানিয়েছেন, তামাক চাষের কাজে শনিবার পার্শ্ববর্তী শৈলকুপা উপজেলার মীনগ্রামে ছিলেন তিনি ও তার স্বামী। তার মেয়ে বাড়িতে একাছিল।
টিভি দেখতে এসে মেয়ের হাত-মুখ বেধে সেই কাজ করে। একই পাড়ার সমবয়সী আরেকটি মেয়ে (১২) ঘটনা দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে মতিয়ার। এসময় তাকে ১০০ টাকা দিয়ে মুখবন্ধ করার চেষ্টাও করে। গ্রামের বাসিন্দা আবেদ আলী জানান, ঘটনার পরে পাড়ার লোকজন মতিয়ারকে খোঁজাখুজি করে। পরে পুলিশ এসেও তাকে খোজাখুজি করে পায়নি।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোঃ সোহেল রানা জানান, ঘটনাটি সত্য। আমরা অভিযোগ পেলেই মামলা হিসাবে রেকর্ড করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। জানাগেছে, মেয়েটি পানামী গার্লস স্কুলের ৭ শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। লম্পট মতিয়ারের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন গ্রামের লোকজন।