দিনরাত নিরলস ভাবে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা

0
212

বিরামপুর(দিনাজপুর)সংবাদদাতা::দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অতিরিক্ত রোগীদের চাপেও নিরলস ভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার, নার্সসহ অন্যান্যরা।

বিরামপুর উপজেলার একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের একমাত্র চিকিৎসার আশা ভরসা হচ্ছে এই সরকারি হাসপাতাল বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৫০ শয্যার এ হাসপাতালের ইনডোরে পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ভর্তি রয়েছেন ৬০ জনেরও অধিক বেশী রোগী। হাসপাতালটিতে নির্দিষ্ট শয্যায় নির্দিষ্ট সংখ্যার চেয়ে অতিরিক্ত রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিতে রোগীদের চাপে বাধ্য হয়ে ফ্লোরে বা করিডরের বেডে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

আউটডোর তথা বহির্বিভাগে প্রতিদিনই প্রায় ৪ থেকে ৫ শ রোগীর চিকিৎসাসেবা ও বিনামুল্যে সরকারি ঔষুধ প্রদান করে এ হাসপাতালটি। আউটডোরে চিকিৎসার সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে দিনাজপুর জেলার অন‍্যান‍্য উপজেলার তুলনায় বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে সবার শীর্ষে। জরুরী বিভাগেও প্রতিদিনই বিভিন্ন সড়ক দূর্ঘটনা ও দুর্ঘটনায় আহত ও গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জরুরী চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ হাসপাতালে নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে কম চিকিৎসক থাকায় স্বল্প সংখ্যক চিকিৎসক নিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদানে বেগ পেতে হলেও তাঁরা পর্যাপ্ত পরিমানে চিকিৎসা সেবা প্রদানে যথাসাধ‍্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই হাসপাতালটিতে চিকিৎসক স্বল্পতার মধ‍্যেই সম্প্রতি দায়িত্বরত একজন চিকিৎসক (কোভিড-১৯) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হোম কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন। তথ্যমতে জানা যায় যে, বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিরামপুর উপজেলার রোগীদের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ ও হাকিমপুর সহ আশেপাশের উপজেলার রোগীরাও এখানে এসে চিকিৎসা সেবা নেন।

বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডাঃ শাহরিয়ার ফেরদৌস হিমেল জানান-আমাদের হাসপাতালটিতে চিকিৎসক ও জনবল সংকট রয়েছে। তিনি আরো বলেন-হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও জনবল সংকট থাকলেও অল্প কয়েকজন সুদক্ষ ও অভিজ্ঞ ডাক্তার, নার্স ও অন‍্যান‍্য কর্মীদের নিয়ে (কোভিড-১৯) করোনা ভাইরাস মহামারির এ সময়ে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালের ৩টি বিভাগেই চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের আমরা সর্বাত্বক প্রচেষ্টা অব‍্যহত রেখে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। এ কারণে আমাদের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা বাড়ায় দিনদিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরো জানান-অতিরিক্ত রোগীকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে ছোটখাটো দু একটি ত্রুটি-বিচ‍্যুতি হওয়া টাই স্বাভাবিক। এগুলোকে সামনে না নিয়ে এসে বরং বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভালো অর্জন ও দিক গুলোকে তুলে ধরে সরকারি এই হাসপাতালটিকে সম্মিলিতভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন‍্য তিনি সকলের প্রতি আহব্বান জানান।

এছাড়াও ৫০ শয্যার বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩টি বিভাগে প্রতিদিনই চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় রোগীদের আস্থা ও বিশ্বাস তৈরি হওয়াতে ৫০ শয্যার এই সরকারি হাসপাতালটি আধুনিক চিকিৎসার যন্ত্রপাতি সংযোজন করে অতিদ্রুত সম্ভব হলে ১০০ শয‍্যার হাসপাতালে রূপান্তরিত করারও দাবী জানান স্থানীয় সচেতন সমাজের প্রতিনিধিরা।