দিনাজপুর জেলা চিরিরবন্দরে ৮ গ্রামের মানুষের চলাচলের ভরসা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো

0
286

মোঃ মোমিনুল ইসলাম দিনাজপুর প্রতিনিধি : দেশ স্বাধীনের পর থেকে অদ্যবধি ইছামতি নদীর দুই পারের ৮ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা হয়ে দাড়িয়ে আছে বৃদ্ধের দাতের মত নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। এ কথাগুলো আজকে বলেছেন এলাকা বসিরা স্বাধীনতার এতদিন পরেও হয়নি কোন ব্রিজ। নির্বাচন এলে শুধু প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ফোটে জনপ্রতিনিধিদের মুখে, কিন্তু নির্বাচন শেষ হলে বেমালুম ভুলে যান তাদের প্রতিশ্রুতির কথা। এলাকাবাসীর আক্ষেপ কোনদিন কী শেষ হবেনা তাদের এই দুর্ভোগ!
দিনাজপুর চিরিরবন্দরের নশরতপুর-আলোকডিহি গ্রামের মাঝামাঝি ইছামতি নদীর ওপর এই সেতু নির্মাণ ফাইলবন্দি। চিরিরবন্দর-খানসামা উপজেলার ৮টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার লোকের দীর্ঘদিনের দাবি এখানে একটি সেতু নির্মাণের।
এই উপজেলার নশরতপুর ইউপি কার্যালয়ের পূর্ব-উত্তর কোণে নশরতপুর ঈদগাঁহ মাঠ সংলগ্ন ইছামতি নদীতে একটি সেতু নির্মাণের অভাবে এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন। বিশেষ করে বর্ষার সময়ে মানুষের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। সেতু যে কবে হবে, তা কেউ জানে না।
সেতু না থাকায় যাতায়াত, উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে আনা-নেয়া, অন্যান্য মালামাল বহনে ভোগান্তি ও অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে। তাদেরকে প্রায় দু’মাইল পথ ঘুরে আলোকডিহি হয়ে মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর, চকগোবিন্দ, আলোকডিহি, ফতেজংপুর, উত্তর পলাশবাড়ী, খানসামা উপজেলার দুবলিয়া, গোয়ালডিহি, লালদিঘী, নীলফামারীর বড়ুয়াসহ ৮টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার লোকের যাতায়াতের পথ এ বাঁশের সাঁকো। জনগুরুত্বপূর্ণ ওই স্থানে সেতু নির্মিত না হওয়ায় কৃষি সমৃদ্ব এলাকাটিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি তেমন।
আলোকডিহি গছাহার গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বাবু নন্দীশ্বর দাস এবং নশরতপুর গ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক এম এ কারী জানান, রাজারা তাদের জামিদারী তদারককালে অত্রাঞ্চলের মানুষের নদীপথে চলাচলের সুবিধার্থে ইছামতি নদী দিয়ে যাতায়াত করত। এলাকার প্রজাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য এ নদীটি খনন করা হয়েছিল। কালের বির্বতনে নদীপথের গুরুত্ব কমে যাওয়ায় ইছামতি নদীটির গুরুত্ব কমে যায়। স্থলপথে যাতায়াতের গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় এখানে একটি সেতু নিমার্ণের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে চিরিরবন্দর উপজেলা হতে দিনাজপুর প্রতিনিধির সর্বপ্রথম সংবাদ।