দিনের পর দিন সমাজে বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদকদ্রব্য সেবনকারী ব্যক্তি ও জুয়া খেলোয়াড়ের সংখ্যা

0
239

মোঃরোমান আকন্দ,স্টাফ রিপোর্টার, গাইবান্ধা।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ও গিদারী ইউনিয়নে দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদকদ্রব্য সেবনকারী ব্যক্তি ও জুয়া খেলোয়ারের সংখ্যা।তারা নিজেরা ভুলবশত নিজেদের ক্ষতির পাশাপাশি সমাজের ক্ষতি ডেকে আনছে। মাদকদ্রব্য সেবন কারী ব্যক্তি দিনের বেলা কিংবা রাতের আঁধারে যেখানে সেখানে মাদকদ্রব্য সেবন এর পাশাপাশি জুয়াখেলায় লিপ্ত হচ্ছে।এতে করে পরিবারে নেমে আসছে অন্ধকারের কালো ছায়া।তারা নিজেরা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি যুব সমাজকে নষ্টের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তারা জানেনা মাদকদ্রব্য কি এটা তাদের কি ক্ষতি করতে পারে।

আসলে
মাদক বা ড্রাগস হলো বিষধর সাপের বিষাক্ত ছোবলের মতো যা প্রতিনিয়ত একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে ধীরে ধীরে তার দংশনে নিঃশেষ করে দেয়। যার প্রভাব আমরা আমাদের যুব সমাজে বেশি দেখতে পাই। কিন্তু আমরা কখনো ভেবে দেখেছি কি? যুব সমাজের এই পরিণতির জন্য অনেকাংশে দায়ি শুধুমাত্র মাদক দ্রব্য এবং মাদকাসক্তি সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান না থাকা!

ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি) বলেছে, মাদক গ্রহনের ফলে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া গেলেও এই ক্ষনস্থায়ী স্বস্তির আড়ালে লুকিয়ে আছে ভয়ঙ্কর ফাঁদ। ফাঁদে একবার জড়ালে স্বাস্থ্যহানি ঘটে, সৃজনীশক্তি শেষ হয়ে যায়। ‘স্বাস্থ্যহানি’ বলতে কেবল দৈহিক স্বাস্থ্যের কথা বলা হচ্ছে না। দেহের পাশাপাশি বিশৃঙ্খল ও বিধ্বস্ত হয়ে যায় মনের স্বাস্থ্য, পুড়ে যায় আধ্যাত্মিক ও নৈতিক মূল্যবোধ, সামাজিক চিত্রে নেমে আসে দুর্যোগ।
তাইতো এলাকাবাসীর আহ্বান যেভাবে দিনের-পর-দিন মাদকদ্রব্য সেবনকী ও জুয়া খেলোয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে করে দেশ রসাতলে যাবে, ধ্বংস হবে যুবসমাজ।

তাইতো যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এলাকার সচেতন মহল প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছে।