আল আমিন,নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোর জেলা পরিষদের অর্থায়নে ডাস্টবিন নির্মাণে বরাদ্দ করা টাকা খরচ না করে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আৎস্মাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠে কাজ না করেই লাখ টাকা তুলে নিয়েছে ঠিকাদার। এ ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবী করেছেন শহরের স্টেশন বাজারের বিলাসী গার্মেন্টসের প্রোপাইটর ঠিকাদার পরিচয়দানকারী নায়মুল সরকার বিলাশ। তিনি বলেন, ডাষ্টবিন নির্মাণের আগেই টাকা উত্তোলন সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হয়ে কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সামনে তিনি হতবিহব্বল হয়ে নিজেকে ঠিকাদার হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন। তবে আরও জানান, ইতিমধ্যে ডাস্টবিন নির্মান কাজ সমাপ্ত হয়েছে। খুব ভালভাবেই কাজটি সম্পন্ন হয়েছে।নাটোর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রানা হোসেন জানান, জেলা পরিষদ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে একটি ডাস্টবিন নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স প্রশান্ত কুমার পোদ্দার’ এর অনুকুলে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। গত মে মাসে কাজ শেষ দেখিয়ে বিল তুলে নেয়া হয়। সম্পতি ডাস্টবিনের অস্তিত্ব না মেলায় বিষয়টি আলোচনায় আসে। এতে গত ৮ আগস্ট তড়িঘড়ি করে শহরের হুগোলবাড়িয়ায় অবস্থিত পৌরসভার একটি পুরোনো ডাস্টবিনে টাইলস লাগিয়ে কাজ করতে থাকে শ্রমিকরা। নতুন ডাস্টবিনে বরাদ্দের লাখ টাকা দিয়ে পুরোনো ডাস্টবিনের কাজ করায় স্থানীয়রা শ্রকিদের বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়।স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হামিদ বলেন, ‘ডাষ্টবিন নিয়ে অনিয়মের সংবাদটি প্রকাশ হবার পর পুরোনো ডাষ্টবিনের পাশে নতুন একটি ডাষ্টবিন তৈরী করে দিয়েছে তারা। এতে এলাকাবাসি খুশি।ডাষ্টবিন নির্মাণে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী সাইদুল ইসলাম। তবে এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোনও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।