ব্রাক্ষনবাড়িয়ার নাসিরনগরে বন্যার পানি বিপদ সীমার উপরে। ডুবে যাচ্ছে গ্রামের রাস্তাঘাট, ঘর বাড়ি,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আমন ধানের ফসলি জমি।পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানি বন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ ও গৃহপালিত পশু।গ্রামের চতুর দিকে বন্যার পানিতে থই থই করছে।এ অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার মত ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে ব্রাক্ষনবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা।অতি বৃষ্টি বর্ষন আর উজান থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানি উপজেলার মেঘনা,ধলেশ্বরী কাস্টি নদীতে হু হু করে বাড়ছে পানি।
নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ২ শতাধিক গ্রামের অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমন ধানের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে অজানা আতংক।নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকার মানুষ। পানি নিঃকাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বাড়ছে জলাবদ্ধতা। ঘর বাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় অনেকের ঠাই হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রে।
ব্রাক্ষনবাড়িয়া ১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বি,এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের সার্বিক নির্দেশনায় ও সহযোগিতায় বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রান বিতরণ করা হয়।ত্রান বিতরনে এসে সাংসদ বন্যার্তদের জরুরী চিকিৎসা সেবা দিতে এবং একটি মেডিকেল টিম গঠন করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসকদের নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বন্যার্তদের মাঝে ত্রান ও সাহায্য সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছে।
একজন শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা যায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে, কারণ ছাত্র ছাত্রী আসা যাওয়া করতে সমস্যা হচ্ছে,তিনি আরো বলেন বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লোডশেডিং দেখা দিয়েছে,একজন কৃষি বলেন ফসলের জমি ডুবে যাওয়া আমাদের আর কোন ভরসা রইল না,