রহমতউল্লাহ, নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর নিয়ামতপুরে এক আদিবাসী কিশোরী (১২) কে ধর্ষণের অভিযোগে ভ্যান চালক আনারুল ইসলাম (৪৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের বান্দইল গ্রামের মৃত- তাইজুদ্দিনের ছেলে।
পলাতক রয়েছে একই গ্রামের বাটুলের ছেলে আরিফ(৩৫) এবং রহিম উদ্দিনের ছেলে ইউনুস নামে আরো দুজন। শনিবার ২৪ জুলাই রাত ৮টায় উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের মাধইল মহাপাড়ার পশ্চিমে খালের ধারে ৪০ বিঘা আম বাগান এলাকায় এঘটনা ঘটে। এঘটনায় রির্পোট লিখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মান্দা সার্কেল) মতিয়ার রহমান ও নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইন চার্জ হুমায়ন কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ওই আদিবাসী কিশোরী রসুলপুর ইউনিয়নের নিমদীঘি আদিবাসীপাড়ার। সে ঐদিন বেলা ১টায় গাংগোর বাজারে আনারুলের ভ্যানে উঠে পার্শ্ববর্তী ঘুঘুডাংগা তার বোনের বাসায় যাওয়ার জন্য। ভ্যান চালক আনারুল লকডাউনে পুলিশের কথা বলে বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে ঘুরে সন্ধ্যে সাড়ে ৭টায় মাধইল মহাপাড়ায় খালের উপর ব্রীজের কাছে নিয়ে আসে। ভ্যান চালক ঐ কিশোরীকে খাল পার হয়ে হেটে বোনের বাড়ীতে যেতে হবে বলে পাশে ৪০ বিঘার আম বাগানের ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে ঐ আম বাগানের কেয়ারটেকার বান্দইল গ্রামের বাটুলের ছেলে আরিফ (৩৫) ও রহিম উদ্দিনের ছেলে ইউনুস অবস্থান করছিল। রাত সাড়ে ৮টায় ভ্যান চালক ও আরিফ ঐ কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করলে কিশোরী ভয়ে চিৎকার করতে না পেরে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ থেকে ১১টার দিকে কৌশলে সেখান থেকে বান্দইল গ্রামের দিকে বিবস্ত্র অবস্থায় পালিয়ে যায়। রাস্তায় ঘুরাফেরা করা বান্দইল গ্রামের ইমরান কিশোরীকে দেখতে পেলে সে প্রথমে ঐ গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে জনাব আলীর বাড়ীতে নিয়ে যায়। সেখানে কিশোরীকে জামা কাপড় পরিয়ে বাড়ীতে রাখে। গ্রামের ১০/১২জন সংগে সংগে ঐ আম বাগানে গেলে আনারুলকে আটক করতে সক্ষম হলেও আরিফ ও ইউনুস পালিয়ে যায়। রাত ১টার সময় থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ এসে কিশোরী ও ধর্ষক আনারুলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইন চার্জ হুমায়ন কবির বলেন, সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয় এবং আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনায় আরো দুজন পলাতক রয়েছে। খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে