মাহমুদুল হাসান লিমন, গলাচিপা,পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলা গত দুই দিনের টানা বৃষ্টি, ভারি বর্ষনে ও দমকা ঝরো হাওয়ায় গাছ উপরে পরে, গাছের ডাল ভেঙে পল্লীবিদ্যুৎ এর খুটি ভেঙে গেছে, তার ছিড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিপত্তি দেখা গেছে।
গত ২৬ জুলাই রাত থেকে একটানা বৃষ্টি শুরু হয় এবং অব্যহতভাবে ২৭ জুলাই রাত পর্যন্ত চলতে থাকে এর ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরে। মানুষ কার্যত গৃহবন্দী হয়ে পরে। একটানা বৃষ্টিতে উপজেলার বেশকিছু নিম্ন অঞ্চল ডুবে যায়,রাস্তায় পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয় সাথে বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকারাচ্ছন্ন নেমে আসে পুরো উপজেলায়।
গলাচিপা উপজেলা পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সুত্রে জানা যায় গতকাল দুপুর থেকেই প্রবল বর্ষণে মাটি নরম হওয়ায় একটু বাতাসেই চাম্বুল গাছ পড়ে লাইন বন্ধ হতে থাকে । সন্ধ্যার পরে বাতাসের গতিবেগ ক্রমাগত বেড়েই চলে এবং রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে বৃষ্টি ও বাতাস বেড়ে ঝড়ে পরিনত হয় । রাত একটার দিকে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা পুরো অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যায় । আজ সকাল হতে উদ্ধার কাজ শুরু করে দেখা যায় যেসব গাছ লাইনের উপর পড়ছে তার অধিকাংশই চাম্বুল গাছ । এই গাছ কেটে পরিষ্কার করে লাইন মেরামত করতে সময় লাগছে বেশী । ফলে অনেক এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে আজও গলাচিপায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে সাথে দমকা ঝরো হাওয়া অব্যহত রয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে বর্তমানে খুলনা বিভাগে অবস্থান করছে স্থল লঘুচাপ!!
গতকাল সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বরিশাল উপকূল দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে।তবে এটি কিছুটা শক্তি হারিয়ে স্থল লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ক্রমশ
পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে এবং বর্তমানে খুলনা বিভাগে অবস্থান করছে স্থল লঘুচাপ রুপে।
এই লঘুচাপের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে কয়েকদিন ধরে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষন চলছে।এছাড়া দমকা বাতাস ও বয়ে যাচ্ছে।এছাড়া ভারী বৃষ্টির ফলে বহু জায়গায় বন্যা ও ভূমিধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটছে।তাই সবাই সাবধান থাকবেন।
আগামী ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রাম,বরিশাল,ঢাকা,খুলনা বিভাগের বেশ কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী,সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় মাঝারি থেকে ভারী বা কোথাও কোথাও অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।সেই সাথে উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়াও বয়ে যেতে পারে।
লঘুচাপের কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকবে আরও ২/৩ দিন।তাই সকল সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩নং সতর্ক সংকেত বহাল থাকছে।