পার্বতীপুর রেলওয়ে কর্মকর্তাগন
অবৈধ স্থাপনা না ভেঙ্গেই ফিরে এলেন সকল কর্মকর্তা

0
225


স্বপন চন্দ্র রায়,জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর-
অদৃশ্য শক্তির চাপের মুখে পার্বতীপুর রেলওয়ে এলাকায় নির্মানাধিন একটি অবৈধ স্থাপনা না ভেঙ্গেই ফিরে এলেন পুলিশসহ দায়িত্বশীল রেল কর্মকর্তাগন।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ রোববার দুপুরে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানা এলাকার বাবুপাড়া কলানীতে। অবৈধ নির্মানকারী ব্যক্তি কোন পাবলিক নন খোদ পার্বতীপুর রেলওয়ের ফিল্ড কানুনগা জিয়াউল হক জিয়া।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে সরেজমিন গেলে দেখা যায় সেখানে রাজমিস্ত্রি রশিদুল একজন লেবার নিয়ে নির্মান কাজ অব্যাহত রেখেছে। প্রশ্ন করা হলে সে জানায়, পার্বতীপুর রেলওয়ে ফিল্ড কানুনগা জিয়াউল হক জিয়া তার মোটর সাইকল/গাড়ি রাখার জন্য এই ঘরসমুহ নির্মান করতে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। সে আরও জানায়, রেলওয়ে আইডাব্লুউ অফিসার ও রেলওয়ে থানার ওসি পুলিশ সদস্যদর নিয়ে স্থাপনাটি ভেঙ্গে ফেলতে এসেছিল। এখানে কোন ব্যবসায়িক কাজ করা হবেনা মর্মে প্রতিশ্রুতি দিলে কর্মকর্তাগন না ভেঙ্গেইন ফিরে যান।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিছুক একাধিক কলোনীবাসী জানায়, নির্মানাধিন জায়গার পেছনেই রয়েছে কয়েকজন রেল কর্মচারীসহ ফিল্ড কানুনগোর বাসা। আর বাসাসমুহর সামনেই ফাকা জায়গাটি কলোনীবাসীর খেলাধুলার ও বগাড়ি পার্কিংয়র জন্য রেখেছ রেল কর্তৃপক্ষ। লোকজন আশংকা প্রকাশ করছেন, এখানে স্থাপনাটি ভেঙ্গে ফেলা না হলে পরবর্তীতে প্রতিটি আবাসিক কায়ার্টারের সম্মুখভাগের জায়গা এভাবেই দখল হয়ে যাবে । এর ফলে পেছনে থাকা বাসা বাড়িও হয়ে পড়বে অরক্ষিত ও বসবাসের অনুপযোগী।
এদিকে একাধিক নিরপেক্ষ ব্যক্তি জানায়, রেল কর্তৃপক্ষের কঠোর ভূমিকা না থাকায় ইতিপূর্বে বাবুপাড়া, সাহেবপাড়াসহ সকল রেল কায়ার্টারের সম্মুখভাগের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে বাসা বাড়ি নির্মান করে বসবাস করছেন বহিরাগত লাোকজন।
এ বিষয়ে পার্বতীপুর রেলওয়ে এসএসএই ওয়ার্কস (আইডাব্লু) তহিদুল ইসলামের মুঠোফানে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং বলেন, অবৈধ নির্মানকারী জিয়াউল হক আগামীকালের মধ্যেই নিজ দায়িত্বে নির্মান কাজ ভেঙ্গে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিলে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছে।
রেলওয়ে পাকশি ডিভিশনের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার-২ আব্দুর রহিম বলেন, অবৈধ নির্মানকারী রেলওয়েরই একজন সরকারী কর্মকর্তা বিধায় বিষয়টি আমরা অধিকতর তদন্ত ও সম্ভাব্যতা যাচাই বাচাই করেই ব্যবস্থা নিব।
লালমনিরহাট ডিভিশনের ডিআরএম নুর মোহাম্মদ স্পষ্ঠ ভাষায় এ প্রতিনিধিক বলেন, আমি নিজেই নির্মানকাজটি প্রত্যক্ষ করার পর পাকশি ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার-২ আব্দুর রহিমকেব স্থাপনাটি ভেঙ্গে ফেলার জন্য বলেছিলাম।
এ ব্যাপারে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পুলিশি সহায়তা চাওয়া হলে আমিসহ সঙ্গীয় ফোর্স অবৈধ স্থাপনাটি ভাংতে ছিলাম। এসএসএই- ওয়ার্কস তহিদুল ইসলাম বিস্তারিত বলতে পারবেন। তিনি এরচেয়ে বেশী কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এব্যাপারে জিয়াউল হক জিয়ার মতামত নেয়া হলে তিনি বলেন, সকল কোয়ার্টারের সামনে সকলই এমন স্থাপনা করেছেন।