বরিশালে থ্রি হুইলার গাড়ী থেকে চাঁদা তুলতে গিয়ে শ্রমিকদের হামলার শিকার চাঁদাবাজ সুমন

0
223


ফয়সাল হাওলাদারঃ বরিশাল নগরীর ১০ নং ওয়ার্ড লঞ্চঘাট এলাকায় থ্রি হুইলারের শ্রমিকের উপর ভাটার খাল এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ সুমন ওরফে (কইতর সুমন) বাহিনীর নামে অভিযোগ পাওয়া যায়।

গত ১৯ -১২-২০২১ তারিখ নগরীর ১১ নং ওয়ার্ড ব্যাপিষ্ট মিশন রোডের বাসিন্দা মোঃ নুর আলম কাজীর পুত্র আলফা ড্রাইভার মোঃ সজল (২৫) শ্রমিকে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।ভাটার খাল এলাকার সুমন ওরফে (কইতর সুমন) বাহিনী, হামলায় আহত হয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন সজল কাজী। এবং ১৯ – ১২-২০২১ তারিখ সজল কাজীর বাবা বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করেন।

আর আজ পূর্ব শত্রুরার যের ধরে আজ ভোর আনুমানিক পাঁচটার দিকে সুমন ও তার বাহিনী নিয়ে বরিশাল লঞ্চ ঘাট এলাকায় আসে এবং প্রতিটি আলফা থেকে চাঁদা দাবি করে তখন বরিশাল থ্রি হুইলার শ্রমিকরা সুমনের সাথে কথার কাটাকাটি করে এক পর্যায়ে শ্রমিকরা ধাওয়া দিলে সুমন বাহিনীর সবাই পালিয়ে যায় কিন্তু সুমন পালাতে পারে নাই তখন বরিশাল থ্রি হুইলার শ্রমিকদের হাতে গনপিটোনির মত ঘটনা ঘটে এবং সুমন বাহিনী লঞ্চ ঘাট এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,আজ (৩০ ডিসেম্বর) শুক্রবার ভোর আনুমানিক ৫: ঘটিকা সময় বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে বাকেরগঞ্জের উদ্দেশ্য যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে সুমন ওরফে কইতর সুমন(৪০) পিতা আইয়ুব আলী হাওলাদার।লঞ্চঘাট টিকিট কাউন্টারের সামনে গাড়ী থামিয়ে প্রতি গাড়ি থেকে ১০০ টাকা এবং প্রতি মাসেও চাঁদা আদায় করেন সুমন।


আজ বরিশাল থ্রি হুইলার শ্রমিকরা কেউ কেউ চাঁদা দিছে যাদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে তারা হলো (১) মাছুম (২) মামুন (৩) সেন্টু (৪) সোহিদ ওরফে ভেলকা সোহিদ (৫) জিরো পয়েন্টের সাদ্দাম (৬) ছগির (৭) জাকির (৮) ইমরান আরও অনেক নাম না জানা শ্রমিকরা সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়।


থ্রি হুইলার শ্রমিক সজল কাজী বলেন আমার কাছ থেকে আমার গাড়ির মামলা ভাংগানোর কথা বলে পাচ হাজার টাকা নেয় সুমন এবং আমার গাড়ীর কাগজ আটকিয়ে রাখে আর টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন রকম হুমকি প্রদান করে।
এছাড়া সাধারণ শ্রমিকরা চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে গত ২৭ অক্টোবর বরিশাল নৌ-বন্দর লঞ্চঘাট এলাকায় মানববন্ধন করেন এসময় আমিও উপস্থিত ছিলাম এরই জেরে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়।

এঘটনায় পরিমল চন্দ্র দাস, শ্রমিক লীগের সভাপতির বক্তব্যে জন্য ফোন দিলেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়

অভিযুক্ত সুমনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।



বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসনাতুজ্জামানকে মুঠোফোনে কল দিলে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে আমি দেখতে আছি।