
মো. রাসেল ইসলাম: প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতে করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত আরো ৮ দিন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ২৩ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত নতুন নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল পেট্টাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী যাতায়াত বন্ধ থাকছে।
এদিকে ভারত রাষ্ট্রের (২৪ পরগনা) জেলায় করোনা (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে ভারত সরকার ১৫ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ভারতে ১৫ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে। এতে নানান প্রতিবন্ধকতায় বেনাপোলে স্থল বন্দর পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যে ঘাটতি মারাত্বক বিরুপ প্রভাব পড়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন মিডিয়াকে বলেন, আমদানি-রফতানি বানিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ভারত বাংলাদেশের যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু কোভিডের কারনে ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা বন্ধ হয়েছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানান প্রতিবন্ধকতায় বাণিজ্য কমে আসছে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুৃর জলিল জানান, ভারতের সাথে ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা এবং দেশে চলমান লকডাউনের মধ্যে সরকারের নির্দেশনায় বন্দরে আমদানি,রফতানি সচল রয়েছে। তবে পরিমানের দিক দিয়ে বাণিজ্য কমেছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব বলেন, নতুন করে ২৩ থেকে ৩১ ই মে পর্যন্ত ৮ দিন এই স্থলবন্দরে ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা জারী হয়েছে। তবে যাদের দূতাবাসের ছাড় পত্র থাকবে তাদের যাতায়াতে বাঁধা নেই। গতকাল শুক্রবার (২১ মে) ভারত থেকে ফিরেছেন ৮৭ জন বাংলাদেশি মানুষ। ভারত ফেরত আসা যাত্রীদের যশোর জেলার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।