নওগাঁ প্রতিনিধি,রহমতউল্লাহ : নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আক্তার কল্পনা পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছেন। গত ১৩ আগষ্ট (শুক্রবার) ছোট ছেলেকে নিয়ে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। খালেদা আক্তার কল্পনা উপজেলার মিঠাপুর ইউনয়িনের খাদাইল গ্রামের কৌতুক অভিনেতা শামীনুর রাহমান ওরুফে চিকন আলীর স্ত্রী।
এদিকে, বুধবার (১৮ আগষ্ট) রাত ১১ টায় ‘চিকন আলী শামীনুর রাহমান’ নামে তার ফেসবুক আইডি থেকে পোষ্টে লিখেছে- ‘বদলগাছী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, খালেদা আক্তার কল্পনা, পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে গত শুক্রবার বের হয়ে গেছেন। যদি কেউ তার সন্ধান পেয়ে থাকেন। নিকটস্থ থানায় অবহিত করবেন…. ধন্যবাদ।’
চিকন আলীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ আগষ্ট ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আক্তার বাড়ি থেকে বড় ছেলে আরিয়ান (১৫) ও ছোট ছেলে আহবানকে সঙ্গে নিয়ে পাশ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলায় চিকিৎসার জন্য যান। চিকিৎসা শেষে বড় ছেলেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ছোট ছেলেকে নিয়ে তিনি আর বাড়ি ফিরেননি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার সন্ধ্যান চেয়ে ফেসবুকে ছবিসহ একটি পোষ্ট দেন চিকন আলী।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আক্তার কল্পনা বুধবার উপজেলা পরিষদে গিয়েছিলেন। সেখানে বিভিন্ন জনের সঙ্গে সাক্ষাত করে উপজেলা থেকে বেরিয়ে যান।
শামীনুর রাহমান ওরুফে চিকন আলী বলেন, ভালবেসে তাকে (খালেদা আক্তার কল্পনা) বিয়ে করেছিলাম। বিয়ের আগে বুঝতে পারিনি বিভিন্ন জনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এরমধ্যে এক সন্তান জন্ম নেয়। সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে আর বিভোসের কোন চিন্তা না করে সংসার চালিয়ে আসছিলাম। কিন্তু কিছুতেই সে সংশোধন হচ্ছিল না। পরে সিদ্ধান্ত নিলাম আমার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে তাকে জনপ্রতিনিধি করার। কারন জনপ্রতিনিধি হলে আত্নসম্নানের জন্য হয়তো ভাল হবে।এরপর ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পর বয়স্ক, বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আসতে থাকে। এলাকার কোন উন্নয়ন না করে সবকিছু আত্মসাত করত। এলাকাবাসী আমাকে ফোন করে এসব অভিযোগ করতো। আত্মসাতকৃত টাকা তার বাবার বাড়িতে পাঠাতো। এসব বিষয় নিয়ে তার সাথে একাধিকবার মনোমানিল্য হয়। তাকে সংশোধন হতে বলা হয়। উল্টো আমাকেই মামলার হুমকি দেয়। ছেলের চিকিৎসা করানো কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এমনকি তার ফোন নম্বরও বন্ধ আছে। তার বাবার বাড়িতে কয়েক ঘন্টা ছিল বলে শুনেছি। তার অনিয়মের বিষয়গুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বদলগাছী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আক্তার কল্পনার মুঠোফোন একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আল্পনা ইয়াসমিন বলেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আক্তার কল্পনা বুধবার উপজেলা পরিষদের এসেছিলেন। এছাড়া তিনি আমার সঙ্গে সাক্ষাতও করেছেন।