এভাবেই নিজের নাম-পরিচয় গোপন করে একের পর এক বিয়ে আর প্রতারণার জাল ফেলেন টিটন (৩০) নামের এক যুবক। তিনি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ধান্যহাড়ীয়া গ্রামে সিরাজুল ইসলাম ঢালীর ছেলে।
সর্বশেষ গত রবিবার উপজেলার বাথানগাছি গ্রামের লোকজন গণপুটুনি দিয়ে বেধে রাখলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
মেয়ের মা বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মেয়ের বলেন বাহানীয় থেকে তার এখনো বিবাহের অনুমতি আসেনি ।সে কারণে আমরা বিবাহের বিষয় টি গোপন রাখতে বলে।তার হতে পিস্তল,হ্যান্ডকাপ ও একটি ওয়াল্লেস দেখে আমার সরল মনে বিশ্বাস করি।
২১/০৪/২০২১ইং তারিখে চাকুরী সংক্রান্ত কারনে গোপনীয়তার রক্ষা স্বার্থে রাতের অন্ধকারে একজন কাজী সহ আমাদের বাড়ি আমার মেয়ে বিবাহ করতে আসে এবং একটি ভূয়া নিকাহনামায় স্বাক্ষর করিয়ে আমার মেয়েকে বিবাহ করে। বিয়ে পর সে আমাদের কে জানায় বিয়ের বিষয়টি তার উর্দ্ধতন কর্মকর্তা জানতে পেরেছে, আমার চাকরি বাঁচাতে ৭,০০,০০০(সাত লক্ষ) টাকার প্রয়োজন।
অতি দ্রুত টাকা ম্যানেজ করতে না পারলে আমার হয়তবা আমার চাকুরীটি হারাতে হবে বলে আমাদের জানায়। তখন আমার মেয়ের জামাইয়ের চাকুরী বাঁচাতে গরু,গহনা ,ব্রিক্রি করে লোন নিয়ে নিজের কাছে জমানো কিছু অর্থ সহ মোট ৪,০৯,০০০(চার লক্ষ নয় হাজার) আকাশ মাহমুদ শাকিল ওরফে মোঃ টিটনের হাতে তুলে দিয়।তার বিরুদ্ধে এধরনের আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে। বহুবার ধরা পড়েছেন পুলিশের হাতে। কিন্তু চোরে শোনেনা ধর্মের কার্হিনী। পুলিশের হাত থেকে বের হয়ে আবারও সেই একই কৌশল।
তিনি সরকারী চাকুরী করেন এটা প্রমাণ করতে সাথে রাখেন র্যাব-সেনাবাহিন ইউনিফর্ম, পিস্তল ও ওয়াকিটকি। যা দিয়ে খুব সহজেই মেয়ে এবং মেয়ের মা বাবার মনে বিশ্বাস তৈরী করা যায়।
আর যাতে মেয়ের আত্মীয় খোজ খবর না করেন সে কারনে তিনি বলেন সরকারী চাকুরীতে আমাকে বিয়ের অনুমতি দিতে এখনো কিছূ দিন সময় লাগবে। যেকারণে হবু জামাইয়ের সরকারী চাকুরীতে সমস্যা হবে বলে অনেকে খোঁজ খবর ছাড়াই মেয়ের বিয়ে দেন প্রতারক টিটনের সাথে।
এ ব্যাপারে মহেশপুর থানা অফির্সার ইনচার্জ বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।