মেহেন্দিগঞ্জে আসামীর সাথে আঁতাত করে বাদীর সম্পত্তি দখলের চেষ্টার অভিযোগ স্বাক্ষীর বিরুদ্ধে

0
137

মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি : মেহেন্দিগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধীয় সম্পত্তি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী চরএককরিয়া ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের সুজাউদ্দীন মোল্লা। তিনি বলেন, তার পৈত্রিক ওয়ারিশের ১০ শতাংশ সম্পত্তি নিয়ে তিনি প্রতিবেশী জামাল হোসেন বেপারী গংদ্বয়কে বিবাদী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, এম,পি ৪৪/২০২০ মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। এবং ওই বিরোধী সম্পত্তির উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। অভিযোগ গত ১০-১০-২০২১ ইং ওই মামলার ৩নং স্বাক্ষী বাদীর চাচাতো ভাই মিলন মোল্লা বিবাদীদের সাথে আঁতাত করে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধী জমি দখলের চেষ্টা করেন। বাদীর জমি দখলের চেষ্টা করলেন স্বাক্ষী মিলন মোল্লা। স্বার্থান্বেষী চাচাতো ভাই মিলন মোল্লা, বিবাদীদের পারস্পরিক যোগসাজশে ওই জমিতে থাকা দুটি ফলের গাছ কেটে পাকা ভবন নির্মাণের লক্ষে কোমর পরিমানে গাইড ওয়াল তুলেন। এই যেন বেড়ায় ক্ষেত খায়। এ ঘটনায়, ওই দিন অর্থাৎ ১০-১০-২০২১ইং সুজাউদ্দিন মোল্লা মেহেন্দিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ এস আই সাহাবউদ্দীন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।

ঘটনাটি ঘটে উপজেলার চরএককরিয়া ইউনিয়নের লস্করপুরের এছাহাক স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালের পশ্চিম পাশ এলাকায়। জানা গেছে, মেহেন্দিগঞ্জের লস্করপুর মৌজার ৩৭ নং এস এ খতিয়ানের ৫২৭, ৩৮৮,৬৭ দাগের ১০ শতাংশ জমি বিরোধী। যার চৌহদ্দি মধো ১০শতাংশ জমি, পূর্বে বাদীর আপন ভাই মোঃ শহীদুল্লার দোকান, পশ্চিমে হাবিবুর রহমানের জমি, দক্ষিণে মসজিদের ওয়াল ও উত্তরে রাস্তা। জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। ওই সম্পত্তির দাবিদার বাদী সুজাউদ্দীন মোল্লা গংদ্বয়। এ নিয়ে ১২-১০-২০২১ ইং বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নালিশী সম্পত্তি নিয়ে একটি মোকদ্দমা করেন সুজাউদ্দীন মোল্লা। ওই মোকদ্দমায় স্বাক্ষী মিলন মোল্লাকে বিবাদী শ্রেণীভুক্ত করার জন্য আবেদন করা হয়। অভিযোগকারী আরও বলেন, অভিযুক্ত মিলন মোল্লা হলেন, এছাহাক স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের করনিক। তিনি এলাকায় সুধের ব্যবসা করেন, এছাড়াও তিনি, ২০১০ সালে একটি ছিনতাই মামলার ১নং আসামি ছিলেন।

এ বিষয়ে মিলন মোল্লা বলেন, ওই সম্পত্তির তিনি ওয়ারিশ সুত্রে মালিক তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারটি তিনি এরিয়ে যান। ছিনতাই মামলার বিষয়ে বলেন, মামলা ছিলো তা সমাধান হয়ে গেছে। মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ওই সম্পত্তি নিয়ে দুইপক্ষের বিবাদের বিষয়টি তার নজরে আছে। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাকা ভবন নির্মাণ করে জমি দখলের অভিযোগের বিষয়ে ক্ষুব্ধ পক্ষ অভিযোগ জানালে তিনি তদন্ত করে দেখবেন । থানার এস আই শাহাবুদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থিতিশীল অবস্থায় উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য বলা হয়েছে এবং কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধায় সাংবাদিকদের কাছে দখলের অভিযোগ করে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বাদী সুজাউদ্দীন মোল্লা ।