ফয়সাল হাওলাদার //মেহেন্দিগঞ্জে: মা ইলিশ রক্ষায় মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে এবার।মেহেন্দিগঞ্জ নদীবেষ্টিত এলাকায় হওয়ার কারনে এখানে জেলেদের সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত এবং চারপাশে নদী থাকায় এক পাশ থেকে অন্য পাশে যেতে সময় সাপেক্ষের ব্যাপার হলেও, তা পুরোটাই প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করে আসছে সুন্দর ভাবে।
মেহেন্দিগঞ্জ মৎস্য অফিসার কামাল হোসেনের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, তথ্য নিয়ে জানা গেলো, মা ইলিশ রক্ষার জন্য ৭ই অক্টোবর থেকে অভিযান কার্যক্রম শুরু করে এ অবদি ১০ দিনে মোবাইল কোর্ট হয়েছে ৩০ টি, আসামীদের জেলে প্রেরণ করার হয়েছে ১০৫ জন, অভিযান শুরু থেকে এ পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, নিয়মিত মামলা প্রদান করা হয়েছে ১১ জন, বয়স কম থাকার কারনে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৫৭ জন কে, শুরু থেকে এ অবদি জাল পোড়ানো হয়েছে ৪৫০০০ মিটার, যার আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা, ইলিশ মাছ গরিব ও অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে আনুমানিক ৫০০ কেজির বেশি।
মৎস্য নিধন প্রতিরোধ অভিযান যে প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছে, তাতে জেলেদের জন্য মাছ ধরা বেশ কষ্টসাধ্য বিষয় বলে মনে করেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসার কামাল হোসেন।মেহেন্দিগঞ্জ মৎস্য অফিসার কামাল হোসেন আরো বলেন, আজকে নদীতে অভিযান কালে দেখা গেছে বিগত দিনের তুলনায় জেলে একদমই কম, নদীতে তেমন কোন জেলে দেখা যায় নি, কারন প্রশাসনের তৎপরতার ফলে জেলেরা বেশ আতঙ্কিত, ট্রলার, স্পীড বোট, নৌকা নিয়ে নদীতে সার্বক্ষনিক টহল দিচ্ছে, নৌপুলিশ, কোষ্ট গার্ড সহ উপজেলা প্রশাসন। তবে এভাবেই চলবে আমাদের অভিযান, এমনটাই বলেছেন কামাল হোসেন।
এ ব্যাপারে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নুরুননবী বলেন, বিগত দিনের তুলনায় মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার প্রশাসন এবার খুব তৎপরতার সাথে অভিযান করছে, এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার, গ্রাম পুলিশ, চৌকিদার সহ সচেতন সকল নাগরিক দের কে বলা হয়েছে, যাতে করে কোন জেলে যেনো নদীতে নেমে মাছ ধরতে না পারে, এবং জেলেদের কে জেলে কার্ডের চাল যথাসময়ে তাদের কাছে পৌছে দেওয়া হচ্ছে, ১৮,৮৭০ পরিবারের মধ্যে ২৫ কেজি হারে চাল প্রদান করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নুরুননবী। এবং আরো বলেছেন যে, আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।