
স্বপন চন্দ্র রায়, জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর :
৯৯৯ এ কল করেও প্রতিকার পেলনা যুবতী গৃহবধু সুরমা আক্তার স্মতি। উল্টো যৌতুকলোভী স্বামী ও শ্বশুর শাশুড়ি মারপিট করে সুরমা আক্তারকে গুরুতর আহত করেছে। কেটে দেয়া হয়েছে তার মাথার অধিকাংশ চুল।
খোদ অভিযাগকারী সুরমা এ প্রতিনিধিকে জানায়, গতকাল শনিবার সকাল ৬/৭টার দিকে যৌতুকলোভী স্বামী রুহুল আমিন ও তার বাবা মা সুরমাকে মারপিট শুরু করলে সংবাদ পেয়ে গৃহবধুর আত্নীয় ৯৯৯ এ কল করেন। অতঃপর পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে সংবাদ পেয়ে পার্বতীপুর মডেল থানার এ,এস,আই সাইদুল ঘটনাস্থলে ছুটে যান। কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইউপি মেম্বার পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধান করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে দায়িত্বরত পলিশ টিমকে থানায় ফেরৎ পাঠান। তবে ওই ইউপি মেম্বার বিষয়টি নিয়ে কোন বিচার শালিশের ব্যবস্থা করেননি। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সুরমা আক্তারের স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি তাকে গালিগালাজ করে বলে যে, থানায় অভিযোগ করে আমাদের কিছুই করতে পারবিনা। এখন দেখ আমরা তোর কি হাল করি। এই বলেই তারা সকলে মিলে সুরমাকে বেধম মারপিট করে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে জোর পূর্বক জাপটিয়ে ধরে মাথার প্রায় আড়াই হাত লম্বা চুল কেটে নেয় এবং জোর পূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ারও চেষ্টা চালায়।
সুরমা অভিযোগ করেন, এমন নির্মম ঘটনা সংঘঠিত হওয়ার পরও ইউপি মেম্বার তাকে কোন আইনী সহায়তা পাইয়ে দিতে ব্যবস্থা নেননি।
প্রত্যক্ষদর্শী সাদেকুল ইসলাম ও সাইদা বেগম জানায়, প্রথম পর্যায়ের নির্যাতনের পর যদি ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশ টিম তাৎক্ষনিক সুরমাকে উদ্ধার করাসহ অপরাধীদপর গ্রেফতারের ব্যবস্থা করতো তাহলে সুরমা ২য় বার নির্যাতনের শিকার হতোনা ।
- গাইবান্ধা জেলায় হারাতে বসেছে বাশঁ ও বেত শিল্প।
- মেহেন্দিগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলা।
- চর অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ কাটাতে ভরসা কেবল ঘোড়ার গাড়ি।
সুরমা বর্তমানে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। এ বিষয়ে আজ রোববার দুপুরে পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার ইন্চার্জ জাফর ইমাম এর মুঠোফানে কথা হলে তিনি বলেন, সুরমা তার স্বামীর সাথে ঘর সংসার করবে বলে মত দিলে এ,এস,আই সাইদুল সুরমাকে স্থানীয় ইউপি মেম্বার এর উপস্থিতিতে শ্বশুর শাশুড়ির কাছে রেখে আসেন। পরবতীতে তার উপর পূনরায় নির্যাতনের সংবাদ ও লিখিত অভিযাগ পেয়ে ঘটনাস্থলে এস,আই মিজানকে পাঠানো হয়েছে। অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।