গাইবান্ধার বিভিন্ন উপজেলায় বিলুপ্তির পথে শালুক কিংবা শাপলা ফুল।

0
314

মোঃরোমান আকন্দ, স্টাফ রিপোর্টার, গাইবান্ধা: শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। সাদামাথা সবার প্রিয় এ ফুল শুধু বাংলাদেশের চলনবিলেই নয়, যেকোনো ডোবা-নালায় জন্ম নিয়ে সবার দৃষ্টি আকৃষ্ট করে। কিন্তু আফসোস! প্রকৃতির বিরূপ প্রভাবে শাপলা ফুলের সেই সমারোহ আর চোখে পড়ে না। দিনে দিনে শাপলা-শালুক যেন একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অথচ আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগেও বড় বড় দিঘীতে ও বিলের বুকজুড়ে শাপলা ফুলের দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য ছিল চোখে পড়ার মতো। সে সময় শরৎকালে দিঘীতে ও বিলের বুকজুড়ে প্রকৃতি অন্য রকম সাজে সেজে উঠত। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা যেত চারদিকে ফুটন্ত সাদা শাপলার সমারোহ। মনে হতো এ যেন শাপলা ফুলের জগৎ! কিন্তু বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা তেমন আর চোখে পড়ে না। এক সময় গ্রামীণ জনপদের পুকুর-দীঘি, ডোবা-বিলে শাপলা ফুল মানুষের মনকে মুগ্ধ করত। প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে এ ফুল ছিল সাহিত্যের ছন্দমিলানোর উপকরণ। ফুলের সৌন্দর্যে পুকুর-দীঘি দেখতে আকর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর। শাপলা ফুল দুই প্রকারের। সাদা শাপলা ও রক্ত শাপলা। রক্ত শাপলা সবচেয়ে আকর্ষণীয়।
এ ফুল প্রকৃতির শোভাবর্ধণের উপকরনও।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু ব্যাপক পরিবর্তনে আগের মতো সঠিক সময়ে বন্যা হচ্ছে না। এ ছাড়া আবাদি জমিতে অপরিমাণ কীটনাশক ও রাসায়নিক সার প্রয়োগে অনেক শাপলা বীজ বা মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা মা-শালুক বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে নতুন করে শাপলার গাছ জন্ম হচ্ছে না। এখন শরৎকাল শেষ হলেও বড় বড় দিঘি ও জলাশয়ে দেশের কোথায়ও সেই আগের মতো শাপলা-শালুকের দেখা নেই। জলজ উদ্ভিদ আজ বিলুপ্তির পথে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ২০ বছরে শাপলার অস্তিত কতটুকু টিকে থাকবে সেটাই এখন ভাবার বিষয়।