ডিমলায় ব্যবসায়ী বুলেটের মৃত্যুর কারণ কি?

0
276

ক্রাইম রিপোর্টার নীলফামারী।। নীলফামারীর ডিমলায় বিকাশ ও ফ্লাক্সি লোড ব্যবসায়ী বুলেটের(৩২)মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল।অনেকেই অনেক কথা বললেও গভীর রাতে ঘটনাটি সংঘটিত হওয়ায় মৃত্যুর আসল কারন সঠিক ভাবে জানাতে পারেননি কেউ।
তবে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি এটি একটি নৃশংস হত্যাকান্ড।যা বুলেটের কাছে থাকা প্রতিদিনের ন্যায় বাড়িতে নিয়ে যাওয়া ব্যবসার টাকা ছিনিয়ে নিতেই ঘটতে পারে


এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সুত্রে জানা গেছে,শনিবার(৮ জানুয়ারি)রাত প্রায় ১১টা ৪৫ মিনিটে ব্যবসায়ী বুলেট দোকান বন্ধ করে নিজ ব্যবসার টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন।পথিমধ্যে ডিমলা সদর ও বালাপাড়া ইউনিয়নের মাঝামাঝি সিমানায় অবস্থিত সিং পাড়া ব্রীজে বুলেটকে মাথার একাধিক স্থানে আঘাত সহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে ডিমলা সরকারি হাসপাতালে নেয়।সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর স্থানান্তর করলে সেই রাতেই বুলেটকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার(৯ জানুয়ারি)সকাল ১১টায় মৃত্যু বরণ করেন তিনি।ঘটনার পরেরদিন সকালে ঘটনাস্থলের প্রায় পাঁচশো গজ অদুরে একটি পুকুর ধারে কিছু টাকা,মোবাইল ফোন,মিনিট কার্ড সহ বুলেটের ব্যাগ পরে থাকতে দেখে এলাকাবাসী নিহতের পরিবারকে জানালে তারা সে গুলো সেখান থেকে বাড়িতে নেয়।

পরে ঘটনার পরের দিন(রবিবার)দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বুলেটের মোবাইল ফোন,ব্যাগে থাকা বেশকিছু টাকা ও মিনিট কার্ড সহ ব্যাগটি থানায় নেয় ডিমলা থানা পুলিশ।ঘটনার সময় ঘটনাস্থলের প্রায় পাঁচশো গজ সামনে রাস্তা দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে যেতে থাকা পথচারী একই এলাকার মৃত জামালের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী শাহাজাহান জানান, ঘটনার সময় আমি বাজার থেকে বাড়ি যাচ্ছিলাম।হঠাৎ একটি বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখি একটি চলন্ত মোটরসাইকেল ব্রীজে উপড়ে ওঠা মাত্রই লাইট বন্ধ হয়ে যায়।কারন জানতে আমি সেখানে একাই যাবার সাহস না পেয়ে একটু সামনে বাড়িতে থাকা বুলেটের চাচাতো ভাই সফিকুল ইসলামকে ডেকে ঘটনাটি খুলে বলে দু’জনে সেখানে গিয়ে দেখি বুলেট রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।পরে বুলেটকে তার পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে নিয়ে যায়।নিহত বুলেট উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সুন্দর খাতা (মুকুল বাবুর ডাঙ্গা)গ্রামের বাসিন্দা মোজাফফর রহমানের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ লেবুর বড় ভাই।তিনি ডিমলা সদরের বিজয় চত্ত্বরে বিকাশ ও ফ্লাক্সিলোডের ব্যবসা করতেন।

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)সিরাজুল ইসলামের ব্যবহৃত সরকারি(০১৩২০১৩৫৫০৬)নম্বরে রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৩ মিনিটে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ না করায় তার কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।


তবে ঘটনার প্রকৃত কারন দ্রুত উদঘাটনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা শাখা(ডিবি),পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই),ও অপরাধ তদন্ত বিভাগ(সিআইডি)সহ অন্যান্য সংস্থা গুলোকে কাজ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।