শৈলকূপা সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

0
182

ঝিনাইদহ – প্রতিনিধি : শৈলকূপা সরকারি জায়গা দখল করে মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বহু অপকর্মের হোতা সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান টুলুর বিরুদ্ধে খোঁজ নিয়ে জানা যায় শৈলকূপা উপজেলা অফিসের পিছনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় এক সময় সুইপার পর্টি ছিল।
উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সুইপার দের স্হায়ী জায়গায় বাড়ি ঘর করার জন্য নদীর ধারে জমি সহ বাড়ি করে দেই।কিন্তু লুৃৃৎফর রহমান টুলুর বাসা সুইপার পর্টির এক প্লট পরে সেই সুবাদে সুইপার দের যখন এখান থেকে চলে যায় তখন লুৎফর রহমান টুলু হাস মুরগী গরু ছাগল পালন করতে থাকে সেই জায়গায় কিছু দিন পরেই সুযোগ বুঝতে পুরো সরকারি জমি দখল করে নেই লুৎফর রহমান টুলু তার কিছু দিন পরেই রাতারাতি গড়ে তোলেন মুক্তিযোদ্বা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ। তার পরে চলতে থাকে প্রতারণা শিক্ষক নিয়োগের কথা বলে লাখ লাখ টাকা চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি দাবি করে টাকা নিতে থাকেন এ-ই লুৎফর রহমান টুলু।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন শিক্ষক বলেন তিনি একজন মুক্তিযুদ্ধো এবং সাবেক চেয়ারম্যান এ-ই সাইনবোর্ড ব্যবহার করে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে কারো কাছ থেকে ৩ লাখ ৪ লাখ করে টাকা নিয়ে আবারও বলছে আরও ৫০ হাজার করে টাকা লাগবে এবং অনেকে টাকা দিতে রাজি না হলে সে বলছে তাহলে তোমার জায়গায় অন্য লোক দিবো
সেই আতংকে অনেকে টাকা দিতে রাজি হয়েছে কিন্তু আমরা যদি আগে জানতাম সরকারি জায়গায় কোন পাবলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করলে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোন দিন এম পিও ভুক্ত হয়না সেটা আমরা পরে বুঝতে পারছি।
রিফাত হোসেন নামে একজন অভিযোগ করে বলেন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খাতা কলমে ছাত্র আছে কিন্তু বাস্তবে নাই আতিয়ার মশিউর নামের দুই জন শিক্ষক বলেন সব থেকে মজার বিষয় হলো সভাপতি সাহেব এক এক পদের জন্য ১/২ জন করে নিয়োগ দিয়ে টাকা নিচ্ছে
কিন্তু কোন বেতন অথবা এমপিও ভুক্ত কোন কাজটাই হচ্ছে না আমরা টাকা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে গিয়েও বড় বিপদে আছি। আসিফ নামের একজন বলেন শৈলকূপা বাদে পাড়ার ছদ্মনাম শিউলি নামে একজন মহিলা প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে আবার তাকে সহকারী শিক্ষক বানানোর জন্য পায়তারা করছেন সভাপতি লুৎফর রহমান টুলু। ছদ্রনাম শিউলি মেয়ে টা বড়ই অসহায় কিন্তু কেহ সাহস করে সভাপতি কে কিছু বলতে পারেন না।
এলাকার কিছু সুশীল সমাজের মানুষ বলেন লুৎফর রহমান টুলু একসময় জাসদের রাজনৈতিক নেতা ছিল সেই সময় শৈলকূপা রাত নামলেই অস্ত্রের ঝনঝননির
মেন হোতা ছিলেন এই লুৎফর রহমান টুলু।সেই সময় কার আন্ডারগ্রাউন্ড নেতা এলাকায় আতংক করে রাখতেন তিনি বিএনপি রাজনৈতিক দল যখন ক্ষমতায় আসলো তিনি বিএনপির নেতা সেজে এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। আবার যখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে রাতারাতি ভেল পাল্টিয়ে হয়ে যান আওয়ামী লীগের নেতা । তাই তিনি ক্ষমতার বলে শৈলকূপার মাটিতে অনেক কিছু ই করে চলছে দেখার কেহ নাই। এলাকার কিছু মুক্তিযোদ্ধা বলেন তিনি লুৎফর রহমান টুলু বাংলাদেশ সোনালী ব্যাংক থেকে লোন করে দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে কমিশন আদায় করে থাকে। ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা কাছে মুক্তিযোদ্বা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপনাদের জায়গায় গড়ে উঠেছে জমি কি লুৎফর রহমান টুলুর কাছে লিজ দেওয়া আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় কিভাবে লিজ না নিয়ে গড়ে উঠেছে বিষয় টা আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম আমি অতি তাড়াতাড়ি ব্যবস্হা নিবো
সরকারি জায়গায় কিভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেন এই বিষয়ে অভিযুক্ত লুৎফর রহমান টুলুর কাছে জানাতে চাইলে তার মোবাইলে বার বার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই। এই লুৎফর রহমান টুলুর দুর্নীতি সন্ধান চলছে আমাদের সাথে ই থাকুন পর্ব (১) দ্বিতীয় পর্ব থাকবে আরো ভয়ংকর তথ্য।