সহস্র কিশোর-কিশোরীর অনুপ্রেরণা ফারজানা ব্রাউনিয়া

0
474

স্টাফ রিপোর্টারঃমানুষ মানুষের জন্য। একজন সফল মানুষ হাজারো মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকে। তেমনি, ফারজানা ব্রাউনিয়া একজন গণমাধ্যম ও সমাজকর্মী, সমাজবিজ্ঞানী এবং সফল সংগঠক। ১৯৭৬ইং সালে তার জন্ম।

কিশোর-কিশোরীরদের নিয়ে সর্বদাই চিন্তাশীল এই মানুষটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএসএস(অনার্স) এবং এমএসএস ডিগ্রি লাভ করেন।পরবর্তী ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি, মেলবোর্ন থেকে এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেন।বর্তমানে কিশোর-কিশোরী সুস্বাস্থ্য বিষয়ে পিএইচডি গবেষণারত।

ফারজানা ব্রাউনিয়া তার নিজ চিন্তা শক্তিতে গেঁথে রেখেছেন কৈশোরে বলা না বলা কথাগুলো আর সেখান থেকেই তার কাজ শুরু দেশের কিশোরীদের নিয়ে।অতিমাত্রায় তার চিন্তাশক্তিকে খেয়ালিপনায় নিয়েছিলেন অসংখ্য জনসাধারণ এবং কিছু সংখ্যক কাছের বন্ধুগণ।
কিন্তু তার এই লক্ষ্যকে সাধুবাদ জানান আপামর জনতার উন্নয়নের কথা যারা চিন্তা করেন, নিবেদিত থাকেন।তাদের সহায়তায় তিনি কাজ করেন কিশোরীদের সুস্বাস্থ্যে নিয়ে। যখন সবার ভাবনাকে হার মানালেন এই ব্রাউনিয়া তখন থেকে কিশোরদের কথা চিন্তা করে কিশোরীর পাশাপাশি কিশোরদের নিয়ে পথচলা শুরু করেন।
দেশের কিশোর-কিশোরীর বড় পরিবর্তনে এই মানুষটির অবদান অনেক। মিডিয়া পাড়ায় যেমন তার খ্যাতি রয়েছে, ঠিক তেমনি কিশোর-কিশোরীর মনে বড় জায়গা দখল করে আছেন তিনি।দেশের হাজারো কিশোর-কিশোরী এখন তার স্বর্ণ সন্তান আর তাদের স্বর্ণ মা তিনিই।

একের পর এক পরিবর্তন এনেছেন দেশের সকল কিশোর-কিশোরীদের মাঝে। স্বর্ণ সন্তান হলে তাকে হতে হবে নির্ভীক। নির্ভীক মা হয়ে তাদের গড়ে তুলছে নির্ভীক করে। প্রতিটি কৈশোর যেন নির্ভীক হয় সেদিকে খেয়াল রাখছেন তিনি।

তার খেয়ালে সবচেয়ে বড় দিকটি হলো কৈশোর কাল হতে হবে নির্ভীক। যেখানে থাকবে না কোন পুষ্টির ভয়,বাল্যবিবাহের ভয়,মাদকাসক্তির ভয়,মাসিক নিয়ে বড় ভয়।দেশের মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে তৈরি হয়েছে সুস্বাস্থ্যের ক্লাব, আর সেখানে তারা জানছে কৈশোরে না বলা কথাগুলো।

ব্রাউনিয়া যখন কোন জেলায় বা উপজেলায় পা রাখেন- সেই এলাকায় লক্ষ্য করা যায় যেন একটি কৈশোর মেলায় পরিণত হয়।তার কথা শুনা মাত্রই কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের মোটিভেট করতে কিংবা প্রিয় মানুষটিকে খুব কাছ থেকে দেখতে ছুটে যায়। তিনি খুব যত্ন সহকারে দীর্ঘ একটি সময়জুড়ে কৈশোরের সকলকেই গড়িয়ে তুলছেন নির্ভীক করে।

ব্রাউনিয়ার এই চমৎকার উদ্যোগে সাধুবাদ জানান সকলেই।তার এই সকল কাজের জন্য সম্মাননা, প্রাপ্তির যেনো নেই কোন কমতি। স্বর্ণ মা আর নির্ভীক মা বলে সম্বোধন সকল প্রাপ্তির উর্ধ্বে তার কাছে।
কিশোর-কিশোরীরা অনেকেই হতে চায় তার মতো নির্ভীক। তারা স্বপ্ন দেখেন যদি হতাম ফারজানা ব্রাউনিয়া।
দেশের কিশোর-কিশোরীর মাঝে অসাধারণ এই কাজগুলো বেঁচে থাকবে আজীবন এই প্রত্যাশা করি।