দল বেঁধে ক্ষমা চাইলেন তালেবানের কাছে

0
352

গভর্নর দপ্তরের ভেতরে তালেবান সদস্যরা সোফার ওপর বসা ছিলেন। কারও কারও হাতে ছিল মার্কিন সেনাদের ফেলে যাওয়া রাইফেল। কফির টেবিলের ওপর ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রাখা কাগজে নামের (যাঁরা ক্ষমা চেয়েছেন) তালিকা পর্যালোচনা করেছিলেন।
এরপর একজন সেখানে থাকা নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে ক্ষমা করা হয়েছে, এমন নোট লিখছিলেন। কারও কারও জন্য এই ক্ষমা ছিল দীর্ঘমেয়াদি, আর কারও কারও জন্য কয়েক দিন মেয়াদি।

একজন আফগান সেনা ওই কম্পাউন্ডে এএফপিকে বলেন, শহরের পতনের আগেই তাঁর ইউনিট আত্মসমর্পণ করে। এখন শুধু তিনি নিরাপত্তা চান।

আহমেদ শাহিদি বলেন, ‘শহরের বাইরে যাওয়ার জন্য আমি ক্ষমা পেয়েছি, এই মর্মে চিঠি নিতে এসেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি আমার জন্য নিরাপদ বসবাসের স্থান খুঁজে পাই।’


তালেবান সদস্য নাজিবুল্লাহ কারোখি বলেন, প্রায় তিন হাজার ব্যক্তিকে ক্ষমা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘অন্যান্য প্রদেশ থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের তিন দিনের সাময়িক ক্ষমা প্রদর্শন চিঠি দেওয়া হয়েছে। যাতে তাঁরা নিজেদের প্রদেশে ফিরে যেতে পারেন। সেখানে গিয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতনদের কাছ থেকে তাঁদের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষমার অনুমতি নিতে হবে।’
কম্পাউন্ডের উঠানে শত শত সেনা বসে ছিলেন। সেখানে তালেবানের একজন জমা দেওয়া নামগুলোর টোকেন ধরে একজন একজন করে ডাকছিলেন।


তালেবানের হাতে আটক স্থানীয় কমান্ডার ইসমাইল খানের মুখপাত্র বলেন, তালেবানের সঙ্গে আলোচনার সাপেক্ষে তাঁকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে তাঁদের মধ্যে কী চুক্তি হয়েছে, তা জানা যায়নি।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে বলেন, ‘শহরটিকে আর ধ্বংস হতে না দেখতে চাইলে আমাদের এই শহর ছাড়তে হবে।’