শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোন ধর্মীয় পোশাক পরিধান নয়, জানিয়ে দিল কর্নাটকের হাইকোর্ট

0
695

ভারত থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম: ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের একটি কলেজে পড়াশোনা করতে যাওয়া মুসলিম ছাত্রী মুসকান খান খাতুন কে কলেজের মধ্যে হেজাব পরে যাওয়া নিয়ে গোড়া হিন্দুত্ব বাদী আর এস এসের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা রিতিমত জয় শ্রীরাম জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিতে তেড়ে আসেন মুসলিম ছাত্রী মুসকান খান খাতুনের দিকে। তখন তিনি ভয় না পেয়ে নারা দিতে থাকেন আল্লাহ হু আকবার আল্লাহ হু আকবর বলে। ঠিক সেই সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ মুসকান খান খাতুন কে সেফ করে নিয়ে কলেজের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে দেন ।

এই ঘটনা কেন্দ্র করে সারা বিশ্বের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং পৃথিবীর সমস্ত প্রতিবাদীরা মুসকান খান খাতুন কে ধন্যবাদ জানান। এই ঘটনার পর দিন ভারতের মুসলিম সমাজের পক্ষ থেকে জমিয়তে ওলামা হিন্দ এর সভাপতি জনাব মাসুদ মাদানী মুসকান খান খাতুন কে পাচ লক্ষ টাকা পুরস্কার প্রদান করে।

এই ঘটনা নিয়ে কর্নাটক রাজ্যের হাইকোর্টের বিচারপতির কাছে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী শ্রী সঞ্জয় হেগড়ে উদুপ্পা। তার মামলা শুনানি তে হাইকোর্টের বিচারপতি বলেন পরবর্তীতে নির্দেশ না দেওয়া পযন্ত কোন ইস্কুল ও কলেজে ছাত্র ও ছাত্রীরা ধর্মীয় পোশাক পরে আসতে পারবেন না। এর প্রতিবাদে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি র কাছে আবেদন যানান যে কেন হেজাব পরে ইস্কুল কলেজে যেতে পারবেন না ছাত্র ও ছাত্রী রা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা টি কর্নাটক রাজ্যের হাইকোর্টে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই মামলা দায়ের হবে না বলে খারিজ করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে কর্নাটক রাজ্যের হাইকোর্টের বিচারপতি জানান কোন ভাবে এই হেজাব পরা নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করা যাবে না। যদি কেউ করেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন।

এই দিকে ভারতের বিভিন্ন যায়গায় প্রতিবাদী মানুষরা বলছেন যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় সরাস্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সহ বিভিন্ন রাজ্যের মন্ত্রী ও আমলারা ধর্মীয় পোশাক পরে যদি লোকসভা ও রাজ্যসভায় আসতে পারে এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রী সভা চালতে মুখ্যমন্ত্রী গদিতে বসতে গেরুয়া পোশাক পরে আসেন এবং পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিমদের অনুষ্ঠানে যদি ঈদ উপলক্ষে এবং ইফতার পার্টিতে হেজাব পরে ইফতার করতে আসতে পারেন তাহলে কোন যুক্তিতে হেজাব পরে ইস্কুল কলেজে যেতে পারবে না মুসলিম ছাত্রীরা। এই ঘটনার পর সারা বিশ্বের বিভিন্ন যায়গায় থেকে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।। বিশ্বের মুসলিম রাস্ট্রের জোট ও আই সি সদস্যরা মুসকান খান খাতুনের পক্ষে দাড়িয়েছে। সেই সাথে ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ও অন্যান্য মুসলিম দেশ ভারতের এই ঘটনার নিন্দায় পথে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।।